রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর, আপনজন: বাংলা জুড়ে অরাজকতার প্রতিবাদ জানিয়ে, সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দিতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বহরমপুরের রাম ভক্ত বিশ্বম্ভর কলিকা। সোমবার সকালে বহরমপুরের হাতিনগর এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দুপুরে জীবন্তিতে পৌঁছালেন বিশ্বম্ভর কলিকা নামে এক ব্যাক্তি। কান্দির জীবন্তিতে দুপুরের আহার ও বিশ্রাম সেরে আবার কান্দি দিকে রওনা দেন। জীবন্তি থেকে কান্দি যেতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এরজন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন জীবন্তির মানুষ। মঙ্গলবার সকালে কান্দি থেকে বীরভূমের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অযোধ্যায় পৌঁছাতে বিশ্বম্ভর কলিকার সময় লাগবে আনুমানিক প্রায় ৩ মাস। এই দীর্ঘ পথ তিনি অতিক্রম করতে সঙ্গে নিয়েছেন নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হনুমানজীর মূর্তিটি। একটি ব্যাগ শীতবস্ত্র মতো সামান্য জিনিস পত্র। যথারীতি পরিবার সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি রওনা দিয়েছেন তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। রাজ্যবাসী তথা সারা দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে যে ছেলে এই দুর্বিষহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে- ছেলের সেই মানসিকতাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের চোখের জলে ছেলেকে বিদায় জানান তার বাবা, মা, স্ত্রী সহ প্রতিবেশী ও ওই এলাকার সাধারণ মানুষও। সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ ভুলে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই বাংলায় গড়ে উঠুক সম্প্রীতি ও শান্তি । বহরমপুর থেকে পায়ে হেটে অযোধ্যা যাত্রার পথ বিশ্বম্ভর কলিকার সফল হোক এই বার্তা ও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্বম্ভর কলিকা বলেন “ বাংলা জুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরী হয়েছে , হিংসা মুক্ত করে শান্তি সম্প্রীতি গড়ে তোলার বার্তা দিতে এই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অযোধ্যা যাত্রা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct