সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বিমায় বেনিয়মের খবর প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল বিমা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও রাজ্যের শাসক দল। ভুয়ো কৃষকের অভিযোগ খারিজ করে পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক করল শাসক দল। দ্রুত বিমার বকেয়া টাকা ছাড়ার অনুরোধ বিমা সংস্থাকে । খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল কৃষি দফতর, বিমা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাজ্যের শাসক দল। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এবার থেকে কৃষকদের সংশাপত্র দেওয়ার আগে নথিপত্র ভালো করে যাচাইয়ের জন্য দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের নির্দেশ দিল তৃণমূল। যে সমস্ত কৃষকদের বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে তাঁদের সেই বকেয়া দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিমা সংস্থা ভুয়ো কৃষককে বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলায় শষ্যবিমা নিয়ে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। সম্প্রতি ছাতনা ব্লকের ঝুঞ্জকা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাউসিবাদ গ্রামের একদল কৃষক লিখিত ভাবে অভিযোগ জানায় ওই গ্রামেরই ২২ জন মানুষকে ভুয়ো কৃষক দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বেনিয়মের খবর সম্প্রচার করি আমরা । আর সেই খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে কৃষি দফতর, বিমা সংস্থা এমনকি রাজ্যের শাসক দলও। কৃষি দফতরের পাশাপাশি তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তে নামে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা। বিমা সংস্থার দাবী ভুয়ো কৃষকের অভিযোগ মিথ্যা। স্থানীয় ঝুঞ্জকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ওই ২২ জন কৃষককে ভাগচাষী হিসাবে সংশাপত্র দিয়েছিল। সরকারী নিয়ম মেনে সেই সংশাপত্রর ভিত্তিতে বিমার টাকা দেওয়া হয়েছে। ঝুঞ্জকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবী স্থানীয় ভাবে খবর নিয়ে ও কৃষকদের দেওয়া নথিপত্র দেখে তাদের ভাগচাষী হিসাবে সংশাপত্র দেওয়া হয়েছিল। নিজেদের ভুয়ো কৃষক হিসাবে মানতে নারাজ অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবী তাঁরা প্রকৃতই ভাগচাষী। ভাগচাষী হিসাবে প্রকৃত নথিপত্র দাখিল করেই তাঁরা বিমার টাকা পেয়েছেন। গোটা ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি দাবী করে তৃণমূল নেতৃত্ব আগামীদিনে ভাগচাষীর সংশাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের আরো সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের বকেয়া থাকা বিমার টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য বিমা সংস্থাকেও অনুরোধ জানিয়েছে তৃণমূল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct