মোহাম্মাদ সানাউল্লা, রামপুরহাট, আপনজন: বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে এটা আগে থেকেই জানিয়েছিল। কিন্তু জেলা যুব সভাপতি সেই সঙ্গে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী নির্বাচিত করে দিল রাজ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অযাচিত ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অর্ফে বুরান তিনি রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাকে নির্বাচিত করেছে বীরভূম জেলার আগামী যুব তৃণমূল সভাপতি। বীরভূমের যে নব জোয়ার সেই নব জোয়ার তারই হাত ধরে ঘটবে। পাশাপাশি অষ্টমবারের মতো ২০১৬ সাল থেকে টানা মহিলা সভানেত্রী থেকে গেলেন সাহারা খাতুন মন্ডল। কিন্তু সাহারা খাতুন মন্ডলকে জেলা সভানেত্রী করার পরে একটা চিন্তাভাবনা আশ্বাস পাচ্ছে জেলার মানুষ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নীতি করেছিলেন এক পদে এক জন। সেক্ষেত্রে সাহারা খাতুন মন্ডল এই মুহূর্তে রামপুরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি তার হাতে জেলার দায়িত্বও দেওয়া হলো। তাহলে কি দল নতুন করে কাউকে খুঁজে পেল না। নাকি তার উপরেই বেশি ভরসা রাখলো দুটি পদে দায়িত্ব দিয়ে। অন্য দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুরান চলতি পৌরসভা তার আগের পৌর সভায় রামপুরহাট ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু পরাজিত হয়ে যান সিপিআইএম নেতৃত্বের কাছে। তার রেকর্ড বলছে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সম্পাদক ছিলেন। তার আমলে রামপুরহাট মহাকুমার ছ’টি কলেজে এস এফ আই থেকে তৃণমূলে আনার ক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে তিনি তৃণমূলে থাকলেও সক্রিয় ভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি তৃণমূলের কোনো অনুষ্ঠানে। কি করেই বা তিনি নির্বাচিত হলেন তিনি নিজেই অবাক। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তাকে এমন গুরু দায়িত্ব দেওয়া হবে তা ভাবতেও পারেননি। জেলা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকারী হিসেবে মুরারই থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের মাসিকুল ইসলাম শিবলি তৃণমূলে যোগ দেওয়া তাকে সহ-সভাপতি করাই অংক ঘুরছে নলহাটি ২ নম্বর ব্লককে কেন্দ্র করে। কারণ এই ব্লকে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের মধ্যেই কি ব্লক সভাপতি করা হবে। নাকি এদের মতই নতুন কাউকে বেছে নেওয়া হবে আগামী দিনে ব্লক তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নলহাটি দুই নম্বর ব্লক জুড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct