আপনজন ডেস্ক: ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের চূড়ান্ত বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে উগান্ডা। নামিবিয়ার ইউনাইটেড ক্রিকেট ক্লাব মাঠের এই ম্যাচই ছিল আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে উগান্ডার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এ হারে বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণটা বেশ কঠিন হয়ে গেল জিম্বাবুয়ের। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ৩৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৩৭ রান। জবাবে ১২ রানে ২ উইকেট হারালেও মিডল অর্ডারে আলপেশ রামজানির ২৬ বলে ৪০ ও রিয়াজাত আলী শাহর ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংসে স্মরণীয় জয় পায় উগান্ডা। ৫ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে তারা।জিম্বাবুয়ের বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল স্বাগতিক নামিবিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হেরে। কোচ ডেভ হটন যে পরাজয়কে বলেছিলেন ‘লজ্জাজনক’। অবশ্য পরের ম্যাচে তানজানিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু আজ উগান্ডার কাছে আবার হোঁচট খেল তারা।জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর উগান্ডার খেলোয়াড়দের উল্লাস
৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে এখন তালিকার চার নম্বরে আছে জিম্বাবুয়ে। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে সুযোগ পাবে দুটি দল। ৩টি করে ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নামিবিয়া ও কেনিয়া। তিনে থাকা উগান্ডার ৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৪। বাকি ৩টি ম্যাচ জিতলেও জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ৮। সেটি যথেষ্ট না–ও হতে পারে গত আসরে খেলা দলটির। গতবার প্রথম রাউন্ডে গ্রুপের শীর্ষে থাকলেও সুপার টুয়েলভে নিজেদের গ্রুপের তলানিতে থেকে শেষ করায় পরের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারায় তারা।নামিবিয়ার মতো এ ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের হারের ধরনটা প্রায় একই রকম। আগে ব্যাটিং করতে নেমে যথেষ্ট রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। আজ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইনোসেন্ট কাইয়া ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেললেও ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। কাইয়ার মতো শন উইলিয়ামসও বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, কিন্তু ২৪ বলে ২১ রান করেই থামেন। উগান্ডার বাঁহাতি পেসার দীনেশ নাকরানি ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার হেনরি সেনিয়োন্দো ২ উইকেট নেন ২৫ রান দিয়ে।বোলিংয়ের শুরুতে অবশ্য আশাই পায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তিনে নামা রজার মুসাকা একদিকে ইনিংস ধরে রাখেন, ৩৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলার পথে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন রামজানি ও রিয়াজাতের সঙ্গে। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় উগান্ডা। শেষ ১৮ বলে তাদের দরকার ছিল ৩০ রান, টেন্ডাই চাতারার করা ১৮তম ওভারে আসে ২০ রান। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিয়াজাত আউট হলেও সমস্যা হয়নি উগান্ডার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct