আপনজন ডেস্ক: শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাংকেতিক ভাষায় পবিত্র কুরআন প্রকাশ করছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ ইন্দোনেশিয়া। এর মাধ্যমে ধর্মের অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীসহ সবার অধিকার বাস্তবায়নে দেশটির সরকার এ উদ্যোগ নেয়। ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকুত কলিল কুমাস বলেন, ‘সাংকেতিক ভাষার কুরআনের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং শিগগিরই তা মুদ্রিত হবে।তা শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ায় নয়; বরং পুরো বিশ্বে সাংকেতিক ভাষায় এবারই প্রথম কুরআন মুদ্রিত হবে। তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মানুষের কাছে আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলবে।’
দেশটির ধর্মমন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এটি সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের সাংকেতিক ভাষায় মুদ্রিত প্রথম কপি হবে। ইতিমধ্যে এর খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে এবং মুদ্রণের প্রস্তুতি চলছে।মূলত ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার একটি আইনে প্রতিবন্ধীদের জন্য ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিষেবার পাওয়ার অধিকারের কথা বলা হয়। সাংকাতেকি ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুলিপি তৈরির মাধ্যমে দেশটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে এবং ধর্মীয় গ্রন্থকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান আবদুল আজিজ সিদকি বলেন, আমাদের গবেষণা অনুসারে এটি বিশ্বের প্রথম মুদ্রিত কপি যেখানে কুরআনের ৩০ পারা ইশারা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এর ডিজিটাল ভার্সন রয়েছে।আগামী মাসের মধ্যে এর ছাপা কপি পাওয়া যাবে। পুরো কুরআন দুই খণ্ডে প্রকাশিত হবে। প্রথম খণ্ডে প্রথম ১৫ পারা এবং দ্বিতীয় খণ্ডে বাকি অংশটুকু থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এক থেকে দুই হাজার কপি ছাপানো হবে।তিনি আরো জানান, সাংকেতিক ভাষায় সবকিছু নির্ভুল রাখতে কুরআনের অক্ষর, হরকত ও উচ্চারণসহ সবকিছু নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়।২০২১ সালে এর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। এরপর গত বছর শুধুমাত্র ৩০তম পারার অংশটি প্রকাশিত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct