আপনজন ডেস্ক: ধীরে ধীরে কমছে প্রকৃতির তাপমাত্রা এবং বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে সক্রিয় হয়ে উঠছে একাধিক রোগজীবাণু! এইসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় পড়ছেন। এসব সমস্যা এড়াতে এরই মধ্যে অনেকেই ঠান্ডা জল ছেড়ে গরম জলে স্নান করছেন। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, শীতের সময় হঠাৎ করেই গরম জলে স্নান করা কি আদৌ উচিত? এই সময়ে প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে কি শরীর গরম হয়ে পড়বে না? এ ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানিয়েছেন বিভিন্ন তথ্য।ডা. পালের ভাষায়, শীতে ঠান্ডা জলর তুলনায় গরম জল দিয়ে স্নান করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই সময়ে নিয়মিত হালকা জল দিয়ে স্নান করলে সর্দি, কাশি এড়িয়ে চলতে পারবেন। অন্যদিকে ঠান্ডা জলে স্নান করলে হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাও হতে পারে। এ কারণে শীতের দিনে ঠান্ডা জল এড়িয়ে চলেই ভালো।
ব্যথা-বেদনায় গরম জল উপকারী
শীতে অনেকেরই ব্যথা, বেদনার প্রকোপ বাড়ে। আর এই সময় ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করলে সমস্যা আরো বাড়বে। এমনকী ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে গরম জলে স্নান করুন। কারণ হালকা গরম জল ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে এর জুড়ি নেই। তাই জয়েন্টের ব্যথায় ভুক্তভোগীরা রোজ গরম জলে স্নান করার চেষ্টা করুন। তাহলে সুস্থ থাকবেন।
সারা বছর কি গরম জলে স্নান করা উচিত?
অনেকেই সারা বছর গরম জল দিয়ে স্নান করেন। এ ব্যাপারে ডা. পাল বলেন, এতে সমস্যার কিছুই নেই। বরং আর্থ্রাইটিস, সিওপিডি এবং অ্যাজমার মতো সমস্যা থাকলে উষ্ণ জলে স্নান করলেই সুস্থ থাকবেন। তবে গ্রীষ্মকালে এমনিতেই আবহাওয়া গরম থাকে। তখন আলাদা করে আর জল গরম করে স্নান না করলেই চলে।অনেকেই শীতের দিনে প্রতিদিন স্নান করেন না। এ ব্যাপারে ডা.পাল জানান, এতে ত্বকের ইনফেকশন হতে পারে। এমনকী তাদের পেট গরম হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তাপমাত্রা যতই কম হোক না কেন, প্রতিদিন স্নান করতেই হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct