সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: ধূপগুড়ি পুরসভার এক প্রান্তে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বামনি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের কোল ঘেঁষে নদীর বুকে কংক্রিটের কাঠামো গড়ে চলছে রেস্তোরা। আপাতত কংক্রিকেটের ছাদ দিয়ে রেস্তোরার ফুট প্যাভেলিয়ন গড়ে সেখানে মাঝেমধ্যেই আয়োজন হচ্ছে নানা পার্টি ও খানাপিনার আয়োজন। প্রকাশ্যে এসব হলেও তা নিয়ে মাথাব্যথা দূরের কথা ন্যূনতম হেলদোলও নেই ধূপগুড়ি পুর কতৃপক্ষের। রেস্তোরাঁর মালিক এলাকায় অর্থবান এবং শাসকদল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত হওয়ায় চোখে দেখেও নদী দখল নিয়ে মুখ খুলতে চাননা কেউই। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থায়ী এক দোকানদার বলেন, গোটা শহরে অনেকেই পূর্ত দপ্তরের জায়গায় দোকান করে দিন চালান। তাই বলে নদীটাকে ছাড়া হবেনা এটা কি ধরণের কথা। একেবারে ব্রিজ ঘেঁষা ঐ নির্মাণের ফলে নদী এবং ব্রীজের গোড়া দুইয়েরই ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ঐ ধরণের নির্মাণ মোটেও সুরক্ষিত নয়। পুরসভা কিভাবে এর অনুমোদন দিল তা জানা নেই। পুরসভার অনুমোদন ছাড়া কংক্রিটের কাঠামো কিভাবে গড়ে উঠলো তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছে এলাকার সর্বত্র। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সব জায়গায় নদী দখল করে বাড়ি ঘর তৈরি হচ্ছে আমি দোকান করেছি তাতে কি। এটা শেষ দপ্তরের জায়গা নয়, এটা পূর্ত দফতরের জায়গা। আমি নদীর উপরে কোন দোকান ঘর তৈরি করিনি। এই ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিরোধী দলের নেতা চন্দন দত্ত বলেন, এরা শহরটাকে জবরদখলের খাসতালুক বানিয়ে ফেলেছে। তৃণমূল করলেই সমস্ত রকমের অনিয়ম করার লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে। শহরের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত বামনী নদীও এদের হাত থেকে রক্ষা পেলো না।বিরোধিদের এই করা অবস্থানের পাশাপাশি শহরের একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংস্থার তরফ থেকেও নদী দখল করা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এবিষয়ে পুরসভার পাশাপাশি সেচ দপ্তর এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কেন নিশ্চুপ তা বিস্ময়ের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct