আপনজন ডেস্ক: এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক নির্মল মন্ডল অভিযোগ করেছেন, “২০১৩ সাল থেকে আমরা কাজ করছি, কেউ কেউ ১০ বছর, আবার ৫ বছরের বেশী সময় ধরে কাজ করছি কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক সহ সকলে উৎসব ভাতা বা পুজোর বোনাস পেলেও আমরা পাই না, সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা আমাদের প্রাপ্য পুজোর বোনাস চাই, আমাদের পরিবার নিয়ে আমরা ভীষণ কষ্টে আছি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিকটাও একটু দেখুক।”রাজ্য সভাপতি সৌরভ সর বলেন “ আমার বাড়ী চন্দ্রকোনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, এখন কোচবিহারে তুফানগঞ্জে কর্মরত।বাড়ী থেকে ৭২০ কিমি দূরে আছি, যা বেতন পাই তাতে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারছি না, পুজোয় নতুন জামা ও পরিবারের জন্য কেনাকাটা করা সম্ভব নয়, পুজোর বোনাস পেলে সেটা সম্ভব হতো কিন্তু ১০ বছর হলো শিক্ষকতা করছি, তাও মেলেনি বোনাস”।সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ১৩ টি বৃত্তিমূলক বিষয়ে ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রকল্পে ৭২৬ টি বিদ্যালয়ে হাতে কলমে শিক্ষাদান শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৩ সালে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প শুরু হয়। এই বিষয়গুলি স্থায়ী হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকদের অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সী দ্বারা নিয়োগ করা হয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। বর্তমানে ১২০০ জন শিক্ষক নিযুক্ত আছেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ টি করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়গুলি চলছে। শিক্ষক, শিক্ষিকারা বহুদিন ধরে অভিযোগ করেছেন তাঁরা সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না, এমনকি প্রাইভেট এজেন্সীগুলি যখন তখন ছাঁটাই করে দিচ্ছে। ২১০ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, দপ্তরে, শিক্ষা মন্ত্রী ও কারিগরী মন্ত্রীকে বলেও কোনো সুরাহা আজ পর্যন্ত মেলেনি। ১০ বছর কাজ করেও নূন্যতম সুযোগ সুবিধা মেলে না বলে অভিযোগ । শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার মুখ্যমন্ত্রী সহ দপ্তরের মুখ্য সচিব,বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু বসু সহ, কারিগরী মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীকে ই-মেল করে কর্মরত শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও পুজোর বোনাসের জন্য আবেদন করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct