সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পাট চাষের জেলার মধ্যে মুর্শিদাবাদও একটি জেলা, আর এই জেলার ডোমকল মহকুমা জুড়ে ব্যাপক পাট চাষ করা হয়। পাট চাষ করে অনেকটাই লাভের আশা করেন চাষিরা কিন্তু এবার পাটের অবস্থা প্রথম থেকেই খারাপ, পাট বোনার পর থেকে খরা দেখা দেওয়ায় কারণে পাট ব হতে পারেনি তেমন ভাবে। অন্য দিকে সারের দাম আকাশ ছোঁয়া। তার পরে বর্তমানে পাট বিক্রি নেই বললেই চলে তিন থেকে চার হাজার টাকা প্রতি কুইন্টালে। জলঙ্গির রাকেশ সরকার নামের এক পাট চাষি বলেন গত দুই বছর ধরে পাট চাষ করে ক্ষতি হচ্ছে লাভের কোনো মুখ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।যা খরচ পাটের সেই পরিমাণে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি ভাবে চাষিদের সাহায্যে করলে অনেকটায় উপকৃত হবো পাট চাষিরা।টুটন বিশ্বাস নামের আরও এক পাট চাষি জানান জমি কন্টাক নিয়ে জমিতে পাট চাষ করেছিলাম লাভের আশায় কিন্তু এখন ঘর থেকে কন্টাকের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে এই ভাবে চাষ করে সংসার চালানোই দুস্কার হয়ে যাচ্ছে।সামনেই দুর্গ উৎসব আর তার আগে চাষেদের হাতে টান পড়েছে, ঘরে মজুত রয়েছে পাট কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না, এমন পরিস্থিতি কিভাবে পুজোর উৎসব কাটবে সেই নিয়ে চিন্তিত জলঙ্গির মনোজ দেবনাথ নামের পাট চাষি তিনি আরও বলেন পাট বিক্রি করে পুজোর বাজার করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু এমন পরিস্থিতি যে পাট কেনার কেও নেই। আর দাম নেই বললেই চলে পাটের, সরকারি ভাবে পাট কেনার তেমন উদ্যোগ নেই সরকারের। মূলত চাষিদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিস্থিতি এবারের পূজো ভালো কাটবে না বলে জানান তিনি।চাষিদের দাবি পাটের জন্য একটা নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিলে ভালো হয়। নইলে আগামীতে পাট চাষ কমে যাবে এলাকায়। সরকারি ভাবে পাট কেনার উদ্যোগ নিলে অনেকটা বাঁচবে চাষিরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct