নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী প্রকল্প।আর সেই প্রকল্পের ফর্ম টাকার বিনিময়ে বিলি করার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।বিদ্যালয়ের চত্বরে বসে ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দিতে দেখা গেল খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে।প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের।বিক্ষোভের জেরে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন প্রধান শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে।অভিযোগ,তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল এর পূর্বেও সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে নিয়েছেন।এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দেওয়ার নাম করে স্কুলের সপ্তম,অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন।এই খবর জানতে পেরে ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে বলতে গেলে প্রথম দিকে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি।অভিভাবকরা সরব হয়ে উঠলে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।আসিফুল হক নামে এক অভিভাবক বলেন,’প্রধান শিক্ষকের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।এর পূর্বে সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার নাম করে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে নিয়েছেন।এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পেরর ফর্ম দেওয়ার নাম করে ১০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন।বলতে গেলে তিনি কোনো কর্ণপাত করছেন না। এদিন অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।’যদিও প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল টাকা নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে নিয়েছেন।তবে তিনি বলেন ‘এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম স্কুলের বাইরে থেকে স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করাতে হয়।তার জন্য কিছু খরচ হয়ে থাকে।তাই এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল। অভিভাবকরা যেহেতু অভিযোগ তুললেন তাই আর টাকা নেওয়া হবে না।স্কুল সব খরচ বহন করবে।আর যা নেওয়া হয়েছিল তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’গ্রামবাংলার ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর এই প্রকল্প বাংলা নয় বাংলার বাইরেও খ্যাতি অর্জন করেছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছর হলেই ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় উচ্চশিক্ষার জন্য। আর সেই প্রকল্পের ফর্ম নিতে গেলে প্রধান শিক্ষককে দিতে হচ্ছে টাকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct