নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা: গ্রামে এখন শুধুই কান্না আর কান্না। চারিদিক জুড়ে বুকফাটা কান্না। শোকে মূহ্যমান গোটা গ্রাম। তার প্রভাব দেখা গেল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পড়ুয়া উপস্থিতির হার শূন্য। মিজোরাম রেল সেতু দুর্ঘটনায় কাণ্ডে এখনও শোকের আবহ মৃতদের গ্রামগুলিতে। জেলায় মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র রতুয়া-২ ব্লকের পুকুরিয়ার চৌদুয়ার গ্রামে ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গোটা গ্রাম শোকে মূর্ছমান। শুক্রবার সাতজনের দেহ আসে গ্রামে। শনিবার তিনজনের দেহ আসে গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা গ্রাম শোক আর শোক। অনেক বাড়িতে উনুনে হাঁড়ি পর্যন্ত ওঠে নি। গ্রামেক একমাত্র স্কুল চৌদুয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন পড়ুয়া শূন্য। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর মতো পরিস্থিতিতে নেই অভিভাবক-অভিভাবিকারা। গত বুধবার ১২ নাগাদ মিজোরামের দুর্ঘটনার খবর আসার পর থেকে গ্রামে কান্নার রোল শুরু হয়েছে। মৃত ১১ পরিবারের আত্মীয়-স্বজনেরা রয়েছেন ওই গ্রামেই। ফলে গোটা গ্রাম এখন পরিজন বিয়োগ যন্ত্রণায় কাতর। মিজোরাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন সেসব পরিজনেরাও। এর আগে গ্রামে একসঙ্গে এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। তার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় চৌদুয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২২৮। গড় উপস্থিতির হার ১৫০-র ওপর থাকে। এদিকে দু’দিন ধরে একজন পড়ুয়ারও দেখা মেলে নি। উপস্থিতির হার শূন্য।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে এসে পড়ুয়াদের অপেক্ষায় বসে থাকছেন তাঁরা। শুক্রবার লোকে লোকারণ্য রাজ্যপাল এলেনগ্রামে। এক বাড়িতে দেখা মিলল আসিফা সুলতানা ও ইশান আক্তারের সঙ্গে। আসিফা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং ইশান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তারা জানায়, ‘এই মৃতের বাড়ির কয়েকটা বাড়ি পর আমাদের বাড়ি। আমাদের কিছুই ভাল লাগছে না। খেলাধুলোও করতে যেমন ইচ্ছে করছে না, তেমনই পড়াশোনাও করতে ইচ্ছে করছে না। তাই স্কুলে যাচ্ছি না। দু’একদিন পর থেকে আবার স্কুলে যাব।’ স্কুলে মোট ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক আখতারুল আলম জানান, ‘গ্রামে এখন শোক চলছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এখনও স্কুলে আসছে না বললেই চলে। দু’দিন ধরে ছাত্রশূন্য স্কুল আমাদের। পুলিশ প্রশাসন রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct