আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: ১২৫০ মিটার নদীর পাড় জুড়ে শুরু হল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন বিধায়কের হাত ধরে।নদী ভাঙ্গন মানেই শান্তিপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা। বিগত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙ্গন যেন এক ভয়ানক আতংক প্রত্যেকের মধ্যে।বর্ষাকাল আসলেই আরো দুশ্চিন্তায় থাকে তীরবর্তী এলাকার মানুষ,এই বুঝি ভাঙ্গন শুরু হয় এই কথা ভেবেই।শান্তিপুর বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সহ শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার। নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হলেই বিঘা বিঘা চাষের জমি থেকে শুরু করে ভিটেমাটি তলিয়ে যায় নদীবক্ষে। ভিটেমাটি ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয় কয়েকশো পরিবারকে,তাদের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা বারংবার প্রশাসন কেউ জানিও সে অর্থে নদীর পাড় ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছিল না।এরপরেই শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকে শুরু করে নির্বাচনে জেতার পরে ওই দুটি এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন তাদের এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন। সেইমতো বেশ কয়েক মাস আগে শুরু হয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ের কাজ। যদিও ধাপে ধাপে কাজ শেষ হতেই আজ আবারো শুরু হল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। এই কাজ শুরু হয় শান্তিপুর চড় সারাগর ও গবার চর এলাকার ১২৫০ মিটার নদীর পাড় জুড়ে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজের। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী নিজের হাতেই তার উদ্বোধন করেন। এপ্রসঙ্গে বিধায়ক জানিয়েছেন,নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ তার কাছে যে দাবি করেছিলেন সেই দাবি নিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে তিনি তুলে ধরেন, তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যতাই বিল পাস হয়,তারপরেই কাজ শুরু হয় নদী ভাঙনের প্রথম পর্যায়ের কাজ।তবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। আর সে প্রসঙ্গেই আবারো একবার কেন্দ্র সরকারকে খোঁচা দিলেন বিধায়ক। তার দাবি কেন্দ্র সরকার যদি সহযোগিতা করতো তাহলে এই কাজ এতদিন ধরে পড়ে থাকত না,অনেক আগেই সমস্যা সমাধান হয়ে যেত,কিন্তু কেন্দ্র সরকার তা করেনি।বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার দু একবার ভাঙ্গন পরিদর্শন করতে এলেও শুধুই আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এই মানুষগুলোর পাশে দাড়াইনি। সেই কিন্তু রাজ্য সরকারকেই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজে হস্তক্ষেপ করতে হয়, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি, আগামী দিনেও করব।কেন্দ্র কি করল সেই দিকে তাকিয়ে আমাদের লাভ নেই। নদী ধারে বসবাসকারীদের কথা মাথায় রেখে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ শুরু করে দিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন কথা মথতো নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct