আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: মেদিনীপুর জেলার জল্পনা কল্পনা অবসান হল,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি হল পটাসপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক কে। সহ-কারী সভাধিপতি হলেন সুহাসিনী কর।নন্দীগ্রামে ৩০ নম্বর জেলা পরিষদের আসন থেকে। বস্তুত,শাসকদলের ক্ষেত্রে এই জেলায় বিধানসভা ভোট কেটেছে চাপের মধ্যে দিয়ে। ফলত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে নজর ছিল বাড়তি। ২১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি মাথায় কে জেলা জুড়েই চলছিল রাজনৈতিক চর্চা, সমীকরণ ও পাটি গণিতের শেষ মুহূর্তের কাটা ছেঁড়া।সামনে ২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। হিসেব বেশ কিছুটা কঠিন। তৃণমূল সূত্রে খবর অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১১ টার মধ্যে দলীয় হুইপের চিঠি পৌঁছে যায় জয়ী জেলা পরিষদ সদস্য সদস্যা দের কাছে।শেষ মুহূর্তে হিসেব কিছুটা বদলে গেল বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল,প্রাধান্য পেলেন তাঁরা যাঁরা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন,অসম্ভব জায়গায় গিয়ে দলের ঝান্ডা পুঁতেছেন পরাজয়ের মুখে গিয়েও বাজিমাত করেছেন! সেই বিদায়ী সভাধিপতি কে দল দায়িত্ব দিল। দলের হুইপ চিঠি বুধবার নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে দেওয়া হয়। তৃনমূলের তমলুক সাংগঠনিক বিভাগের জেলা সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র জেলা সভাধিপতি হিসাবে নাম ঘোষণা করেন উত্তম বারিকের সকালের উপস্থিতিতে,দলনেতা হিসেবে নাম প্রস্তাব করেন ২৫ নং আসনের জয়ী সদস্য অভিষেক দাস এর,সহ-সভাধিপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করেন নন্দীগ্রামে ৩০ আসনের জয়ী সদস্যা সুহাসিনী কর এর।বৈঠক শেষ করে সদস্যরা জেলা পরিষদ অফিসে যায়। সরকারি নিয়ম মেনেই সেখানেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়,জেলা পরিষদের সভাধিপতি গঠন ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নজর ছিল জয়ী তৃণমূল সদস্যদের উপর,জেলা সভাধিপতির ক্ষেত্রে একাধিক নাম উঠে এলেও পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে একটু বেশি সাবধানী ছিল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাধিপতি উন্নয়ন মূল লক্ষ্য,দল পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া জন্য মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কৃতজ্ঞতা জানাই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct