আপনজন ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। উল্লেখ্য যে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ৯ই আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হোস্টেলের সম্মুখে স্বপ্নদীপকে বিবস্ত্র ও গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে উপস্থিত হন এসআইও রাজ্য পরামর্শ পরিষদের সদস্য ও নদিয়া জেলা সভাপতি সফিকুল ইসলাম মন্ডল এর নেতৃত্বে একটি ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি । তিনি বলেন আর হয়তো স্বপ্নদীপকে আমরা ফিরে পাবোনা কিন্তু এমন মা বাবার কোল খালি যেনো আর না হয় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে, সাথে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।এসআইও মনে করে যে, এযাবৎ কালে পশ্চিমবঙ্গের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে এটা সবথেকে নিকৃষ্ট। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন এদিন স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এই ঘটনায় নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চমানের প্রতিষ্ঠানেও একজন পড়ুয়াকে র্যাগিং করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেও একজন ছাত্র নিরাপদ নয়। প্রবীণ পড়ুয়াদের হাতে নবাগত স্বপ্নদীপের মত বহু ছাত্রকে র্যাগিং-এর স্বীকার হতে হচ্ছে, যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যবোধের চর্চার ভীষণ অভাব দেখা যায়, যার ফলে বহু ছাত্র অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।” এই ঘটনার পুলিশবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন যে অতি দ্রুত দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে সাইদ মামুন রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাঙ্গনকে র্যাগিং-মুক্ত করার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct