সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: প্রধান নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ চরমে, প্রস্তাবিত প্রধান পছন্দ না হওয়ায় বোর্ড গঠনে অংশই নিল না সংখ্যাধিক্য পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েতের জয়ী সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে ধরনায় ৯ সদস্য,গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট হল যে বোর্ড গঠনে অংশ নিলেন না দলের সংখ্যাধিক্য পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সংখ্যালঘু সদস্যর সমর্থন নিয়েই হল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৭ টি। বিরোধীরা মনোনয়ন করতে না পারায় ওই পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয় পায় তৃণমূল।পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ হয়েও হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন সহজ হলনা তৃণমূলেত কাছে। দল প্রস্তাবিত প্রধান পছন্দ না হওয়ায় পঞ্চায়েতের সংখ্যাধিক্য সদস্য অংশগ্রহণই করলেন না বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। জানা গেছে ১৭ জন দলীয় সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্য এদিন পঞ্চায়েত মুখো হননি। বাকি ৮ জন দলীয় সদস্যকে নিয়েই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে ফেলে তৃণমূল। প্রধান পদে বসানো হয় মিনতী বাগদীকে। আজ দুপুরে হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যখন ৮ জন নির্বাচিত সদস্য বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলছে তখন পঞ্চায়েত থেকে দূরে হাতে জয়ী সংশাপত্র হাতে ধর্ণা অবস্থান করলেন ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের টিকিটেই জয়ী বাকি ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এই বিক্ষুব্ধদের দাবী তাঁরা চেয়েছিলেন দলের কোনো শিক্ষিত সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব তা না করে প্রধান পদে নিজের পছন্দের সদস্যাকে বসিয়েছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু সেন এর দাবি দলীয় সিদ্ধান্তে যাকে প্রধান করার কথা ভেবেছে তাকেই প্রধান করা হবে। যারা পঞ্চায়েতে উপস্থিত হয়নি তারা শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হয়নি । বিজেপির দাবী গনতন্ত্রের কোনো নিয়ম কানুনই মানছে না তৃণমূল। মনোনয়ন জমা করতে না দেওয়া, ভোট লুঠ, গননায় কারচুপির পর এবার সংখ্যালঘু সদস্যদের সমর্থনেই বোর্ড গঠন করছে তৃণমূল। এই ঘটনা অনৈতিক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct