আপনজন ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্র কুনওয়ার এক যুবককে জোর করে কান ধরে ওঠ বোস করতে বসতে বাধ্য করলেন। লাথি মারে এবং থুতু চাটতে বাধ্য করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ আগস্ট এবং এর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে, অত্যাচারিত যবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ঝাড়খন্ডের রাঁচি জেলায় একটি নদীতে মহিলাদের স্নানের দৃশ্যের ভিডিও তৈরি করছিলেন। পুুলিশ সূত্রের খবর তৌসিফ নামে ওই যুবক দুমকা জেলার সাধুডিহ গ্রামের বাসিন্দা। তৌসিফকে লাথি মারার কথা স্বীকার করে কুনওয়ার দাবি করেন, তিনি যদি অভিযুক্তকে শাস্তি না দিতেন, তাহলে জনতা তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে পারত এবং তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারত। সেখানে উপস্থিত স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমিত করতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করেন ওই নেতা। কুনওয়ারের মতে, স্থানীয়রা তৌসিফকে কাছের নদীতে মহিলাদের স্নানের ভিডিও তৈরি করতে দেখে এবং এই ইস্যুতে পঞ্চায়েত ের আয়োজন করতে নেত্রীকে অনুরোধ করে। এদিকে, জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি তৌসিফকে নিজের থুতু চাটতে বলেন। বিজেপি নেতা বলেন, অভিযুক্তের ঠাকুরদাদা কাছাকাছি একটি ফলের দোকান চালান। কুনওয়ার জানান, খাপ পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তের পর জীবনের হুমকির আশঙ্কায় তৌসিফকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। তবে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং মানুষ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কুনওয়ার ২০১৯ সালে জারমুন্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কিন্তু পরাজিত হন। এর আগে তিনি ১৯৯৫ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং ২০০০ সালে বিজেপির দ্বারা একই আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, কিছূদিন আগে মধ্য প্রদেশের সিধি এলাকার আদিবাসী দিনমজুর দশমন্ত রাওয়াতের গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন প্রবেশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct