নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার আদালতের নির্দেশে হাজির হয়েছিলেন ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া চার জন শিক্ষক। শুনানি চলাকালীন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই চার শিক্ষককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর আদালতের নির্দেশ মতো তাদের পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।অভিযোগ, এই চার জন শিক্ষক টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই এদের সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করায় আদালত এদের অভিযুক্ত হিসেবে আদালতে তলব করে। আদালতের নির্দেশে এরা হাজিরাও দেয়। এই মামলার শুনানিতে বিচারক এই শিক্ষকদের আইনজীবীকে বলেন, আপনার মক্কেলদের কেন জামিন দেব? এরাই সেই পাবলিক। যার জন্য এতগুলো মানুষ ভুগছেন।ওই শিক্ষকদের নাম সৌগত মন্ডল, সাইগার হুসেন, সীমার হুসেন ও জাহিরউদ্দিন শেখ।নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক ‘প্রভাবশালী’। এই প্রথম বার টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির নির্দেশ দিল আদালত। মাস খানেক আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওই চার শিক্ষককে সমন পাঠিয়েছিল আলিপুর নগর দায়রা আদালত। সিবিআইয়ের চার্জশিটে ওই চার জনের নাম ছিল। এরা চার জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তদন্তকারীরা চার্জশিটে জানান, তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে এঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। সোমবার ওই চার জন আদালতে হাজির হন। অভিযুক্তেরা হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন এঁদের জামিন দেওয়া হবে? এঁদের জন্য এত কিছু।’’ বিচারক চক্রবর্তীর সংযোজন, ‘‘সিবিআই তো ক্লিনচিট দিয়েই দিয়েছিল। আমি ডেকে এনেছি। পর্যাপ্ত মেটেরিয়ালের (তথ্যপ্রমাণের) ভিত্তিতে ওঁদের ডাকা হয়েছে।’’ তিনি ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘‘আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেওয়া হবে।’’ সওয়াল-জবাবে চার জনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ২১ আগষ্ট পর্যন্ত তাঁদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হবে। ওই দিনই মামলার ফের পরবর্তী শুনানি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct