আপনজন ডেস্ক: ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা (এএসআই) কর্তৃক জ্ঞানবাপি মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ পরিচালনার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের আদেশ বহাল রেখেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তাই আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মাসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত, যা জেলা আদালতের আদেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস রাজালিঙ্গম সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে এএসআই প্রশাসনকে জানিয়েছে যে তারা শুক্রবার থেকে মসজিদ প্রাঙ্গণে (ওজুখানা ব্যতীত)সমীক্ষা শুরু করবে। রাজলিঙ্গম আরও বলেন, “আমরা এএসআইকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা প্রদান করব।
বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার বিষয়ে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি প্রীতিঙ্কর দিবাকরের বেঞ্চ বলেছে, জ্ঞানবাপি মসজিদের ‘কাঠামো’ হিন্দু মন্দিরের পূর্ব-বিদ্যমান কাঠামোর উপর নির্মিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে এএসআইকে বলা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি প্রীতিঙ্কর দিবাকরের বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে এই সমীক্ষার ফলে কোনও ক্ষতি হবে না।
আদালত বলেছে, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী বিজ্ঞ সিনিয়র কাউন্সেল একবার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হবে না, এই আদালতের তাদের বক্তব্য এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এএসআই অফিসারের দ্বারা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে জমা দেওয়া হলফনামায় সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই। আদালত আরও বলেছে, কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বা তদন্ত ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে’ প্রয়োজনীয় ছিল এবং এটি বাদী ও বিবাদীদের সমানভাবে উপকৃত করবে। সেই সঙ্গে আদালতকে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।বর্তমান পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই এবং এটি খারিজ হওয়ার যোগ্য। আদেশে বলা হয়েছে, এই রিট পিটিশনটি খারিজ করা এএসআই দ্বারা বৈজ্ঞানিক তদন্তের সময় মামলার পক্ষগুলির উপস্থিত থাকার অধিকারকে প্রভাবিত করে না। গত ২৭ জুলাই বারাণসীর জেলা জজ এএসআই কর্তৃক মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পরিচালনার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির দায়ের করা তিন দিনের ম্যারাথন শুনানি শেষে হাইকোর্ট সরকার এবং আবেদনকারীদের আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন গত দু’বছর ধরে বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল মুসলিম সংগঠন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। আর্জিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট গুরুতর ঝুঁকির কারণে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করা উচিত, যার পরিণতি সারা দেশে হতে পারে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে আবেদনটি উল্লেখ করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct