এম মেহেদী সানি, বনগাঁ, আপনজন: ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহ হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ জে আর ধর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বৈঠক করলেন জেলা শাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী ৷ মঙ্গলবার ওই হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা খোঁজ নেন জেলা শাসক ৷ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মেলায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন ৷ বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের থেকে এবছর ডেঙ্গু ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ডেঙ্গু ইস্যুতে গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে তার মতে, ডেঙ্গু সমস্যা আসছে প্রধানত বাইরে থেকে। মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসছে। বেশি পাওয়া গেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ইত্যাদি এলাকায়।’ অনেকেই মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমনই বক্তব্যের পর সীমান্ত শহর বনগাঁর দিকে বাড়তি নজর রাখছে জেলা প্রশাসন, জেলা শাসকের দপ্তরে মঙ্গলবার জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়, পাশাপাশি বনগাঁ হাসপাতালে এসেও জেলা শাসক ডেঙ্গু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বলে জানা গিয়েছে ৷ বনগাঁ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলা শাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী সহ উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক প্রেমবিভাস কাঁসারী, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা, হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির প্রতিনিধিরা সহ অন্যান্যরা। এ দিনের বৈঠকে ডেঙ্গু ছাড়াও বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এপর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই মুহূর্তে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন রোগী । যদিও ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান জেলাশাসক ৷ বৈঠক শেষে বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ বলেন, বনগাঁ ব্লকের গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও বনগাঁ পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা একটিও ঘটে নি । বনগাঁ শহরে ডেঙ্গুর প্রভাব আটকাতে পুরসভার স্বাস্থ্য এবং জঞ্জাল বিভাগের কর্মীরা সতর্ক রয়েছেন ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct