নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: কেরলে কাজ করতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হযেছিলেন কালিয়াচকের এক পরিযায়ী শ্রমিক। অবশেষে সেই নিখোঁজ শ্রমিকের দেহের সন্ধান মিলল ওড়িশায়। জানা গেছে, ওড়িশার রাউরকেল্লার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে খবর জানতে পেরে পরিবারের লোকেরা ওই হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। বুধবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ কালিয়াচকের বাড়ি এসে পৌঁছলে গোটা গ্রামে মোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (৩০)। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক-১ ব্লকের সিলামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর কবিরাজ পাড়া গ্রামে। স্ত্রী মাবিয়া বিবি ও ২ মেয়ে আলিশা ও আলিফাকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। তিনি কালিয়াচকের কালকাপুরে একটি গ্রিলের ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। এরই মধ্যে তিনি দাদার কাছে কেরলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো গত ১৫ জুলাই কেরালার উদ্দেশে রওনা দেন রফিকুল। পরের দিন রবিবার পরিবারের সঙ্গে সকালের দিকে রফিকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। ওই দিনই বিকেল থেকে নিখোঁজ। তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা কেরলে পৌঁছে গেলেও সঙ্গে থাকা ব্যাগ-সহ অন্যান্য সামগ্রী দাদার হাতে তুলে দেন তারা। এদিকে নিখোঁজের খবর পেয়ে দু’দিন পর বাবা মোস্তাফা হোসেন-সহ পরিবারের ২ সদস্য ছেলের খোঁজে যান। রাউরকেল্লা স্টেশনে রেলের সিসি টিভি ক্যামেরাতেও তাঁকে দেখা যায়। সেই মতো সেখানে তারা খুঁজতে বের হন। স্থানীয় আরজিএইচ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গত ২০ জুলাই এক যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করে স্থানীয় পুলিশ। ওই দিন তার মৃত্যু হয়। বাবা মোস্তাফা হোসেন বলেন, ‘ছেলে রাউরকেল্লা স্টেশনে নামার পর ট্রেন ছেড়ে যায়। তারপর সে অবসাদগ্রস্থ হলে পুলিশ ২০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct