আপনজন ডেস্ক: ভাঙড়ে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা যাতে আর না হয় তার জন্য ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ অাটকে দিয়েছিল। গাড়ির মধ্যে প্রায় সারা দিন কাটিয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল নওশাদকে। ভাঙড়ে শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি থাকায পুলিশের এই পদক্ষেপে নওশাদ অভিযোগ করেছিলেন, তাকে আটকানো হলৌ অন্য এলাকার বিধায়ক সওকাত মোল্লা অবাধে ঘুরছেন ভাঙড়ে। অবশেষে সেই সওকাত মোল্যাদের বাঙড়ে যাওয়া শনিবার আটকে দিল পুলিশ। শুধু সওকাত নয় তার সঙ্গে আরাবুল ইসলামকেও ভাঙড়ে ঢুকতে দিল না। তার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান সওকাত মোল্যা ও আরাবুল ইসলাম সহ তাদের দলের লোকজন। জানা গেছে, শনিবার সকালে ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ায় তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি মোসলেম শেখের মৃত্যু হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। তার বাড়িতে দেখতে যাচ্ছিলেন সওকাত মোল্যা ও আরাবুল ইসলাম। কাঁঠালিয়ায় যাওয়ার পথে শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের আটকে দিল পুলিশ। শনিবার রাতে কাঁঠালিয়া যাচ্ছিলেন শওকতরা। তখন ভাঙড় ব্রিজের কাছে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। কাঁঠালিয়ায় শওকতরা যেতে চাইলে পুলিশ এগোতে দেয়নি। প্রতিবাদে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসে পড়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব কাঁঠালিয়ায় বাড়ি মৃত তৃণমূল নেতার। এই জায়গাটি পড়ে কাশীপুর থানার অধীনে। আর এদিকে কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তিতেই পুলিশ শওকতদের আটকেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। সওকাতের অভিযোগ, ‘আমরা শেষকৃত্যে যেতে চাইছি, তাও পুলিশ যেতে দিচ্ছে না।’ তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সওকাতরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct