আপনজন ডেস্ক: বিল, খাল প্রভৃতি নিয়েই প্রাকৃতিক জলাশয়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তার নতুন ঠিকানা স্থাপন করছে খাল বিলের পাশে। জলাভূমি সংলগ্ন যে সীমানাগুলো এতদিন জনশূন্য ছিল কালক্রমে সেখানে গড়ে উঠেছে মানববসতি। আর এতে স্বাভাবিকভাবে দিনের পর দিন বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে খাল-বিল, ডোবা, পুকুর।আর এভাবেই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে দেশি প্রজাতির মাছগুলো। দেশি প্রজাতির মাছের মধ্যে মাগুর হল অন্যতম। বর্তমানে খাল, বিল, ডোবার মতো প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো বিপন্ন হয়ে যাওয়ায় এরাও পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে। এক সময় গ্রাম গঞ্জে সর্বত্র খাল, বিল, পুকুরে মাগুর মাছ দেখা যেত। তবে বর্তমানে তা খুবই কম চোখে পড়ে। মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, 'জিওল অর্থাৎ জীবিত মাছগুলোর মাঝে মাগুর মাছ অধিক সুপরিচিত। বাজারে মরা মাগুর মাছের তুলনায় জীবিত মাগুর মাছের চাহিদা অনেক বেশি। প্রাকৃতিক জলাশয়ে একেকটি মাগুর ৩০ সেন্টিমিটার থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। মাগুর মাছ বুকের ওপর ভর দিয়ে এদিক থেকে ওদিকে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে যেতে পারে।এদের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র আছে বলে এরা বাতাস থেকে শ্বাস নিয়ে টিকে থাকতে পারে।অথচ, মূল্যবান দেশি প্রজাতির মাছের প্রজননের ক্ষেত্রে মুক্ত জলাশয়ের পরিবেশ এবং পরিবেশ ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও দেশি প্রজাতি মাছের নিরাপদ প্রজনন এবং মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।এগুলোর মধ্যে রয়েছে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মাছের অভয়াশ্রম স্থাপন, গবেষণা ও উন্নয়ন প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম প্রভৃতি। মাগুরসহ অন্যান্য দেশি প্রজাতি মাছের বিলুপ্তি ঠেকাতে প্রাকৃতিক মুক্ত জলাশয়ের জনসম্পৃক্তমূলক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নেওয়া এবং সে সঙ্গে দেশি প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিচ্ছে মৎস দফতর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct