অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন মফিজউদ্দিন মিঁয়া।দলীয় প্রতীক না মেলায় প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ।তবে দল চাইলে দলীয় কাজে তথা প্রচারে তাঁকে কাজে লাগাতে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি।জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র চলাকালীন জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন কুমারগঞ্জের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা মফিজউদ্দিন মিয়া। কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে জন্য প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ওই একই আসনে কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডলের পুত্র পেশায় শিক্ষক রিয়াজুল মন্ডল মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর পরেই এ বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চর্চা। যদিও বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল দাবি করেছিলেন, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলা নেতৃত্বের কাছে আসা তালিকায় তাঁর ছেলের নাম রয়েছে। অন্যদিকে, সেই সময় মফিজ বাবু জানিয়েছিলেন, দল থেকে সেরকম কোনো নির্দেশিকা তিনি পাননি। সে কারণেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দল যদি তাঁকে দলীয় প্রতীক না দেয়, তাহলে তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেবেন। সেই মতো এদিন নিজের প্রার্থী পদ তিনি প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি তাঁর সাথে এদিন তৃণমূলের হিলি ব্লকের এবং কুমারগঞ্জ ব্লকের আরো দুইজন, প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।এ বিষয়ে মফিজ উদ্দিন মিয়া জানান, আমরা নমিনেশন পত্র দাখিল করেছিলাম। যেহেতু দলীয় প্রতীক আমাদের নামে অ্যালট করা হয়নি, সেজন্যই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিলাম। আমরা দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম নিয়ে আমাদের মনে একটু ধোঁয়া ছিল। সেই ধোঁয়াশা মিটে যাওয়ায় আমরা আমাদের প্রার্থী পদ তুলে নিয়েছি। আমি যেদিন নমিনেশন দাখিল করেছিলাম সেদিনই বলেছিলাম , দল যদি আমার জন্য সিম্বল দেয়; তাহলে আমি প্রার্থী হিসেবে লড়বো। আর যদি না দেয় তাহলে নির্বাচনে লড়বো না। সেই মতো আজ প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। দলের স্বার্থে আমাদের যেখানে কাজে লাগানো হবে আমরা সেখানেই কাজ করব। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দল যদি আমাদের প্রচারের কাজে লাগাতে চায়, তবে আমরা সেভাবেই প্রচার করব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct