সেক আনোয়ার, নন্দীগ্রাম, আপনজন: নন্দীগ্রাম- ১ ও ময়না ব্লকের এমন ৪ গ্রামসভা আসনে বিনা লড়াইয়ে জয় হাসিলের অপেক্ষায় তৃণমূল প্রার্থীরা। ২২৯,২৩৪ ও ২২৮ নম্বর বুথ হল নন্দীগ্রামের সেই এলাকাগুলি যেখান থেকে জমি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, হলদি নদীর পাড়ে কালীচরণপুর, ৭ ও ৯ নম্বর জালপাই, ভূতারমোড় ও গড়চক্রবেড়িয়া মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার মধ্যেই পড়ে উক্ত তিনটি বুথ।এই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। ২০১৮’র পর ২০২২ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারলেন না। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি কিংবা অন্য দল প্রার্থীই দিতে পারেনি বলে সূত্রের খবর।জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র তৃণমূলের তরফে জমা পড়েছে মনোনয়ন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন,তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি বিভিন্ন জায়গায়। সে সময় শাসকদলে নন্দীগ্রামের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “২০১৮ সালে বিজেপির অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল এখন শুভেন্দু মুক্ত। বিরোধীরা স্বাধীনভাবে নন্দীগ্রাম- সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে মনোনয়নে অংশ নিয়েছেন। কোথাও কোনও অশান্তি বা বাধা দেওয়ার অভিযোগ নেই। তাও বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারলে ওঁদের সমস্যা।।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct