সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আচমকা ভোট ঘোষণায় রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কেননা, গ্রাম বাংলার ভোটযুদ্ধে শাসকদলের প্রচারের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কর্মী নেই দলে। ফলে দেওয়াল লিখন কতটা করা যাবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই অস্বস্তি থেকে ওরপেরে ওআর গামী ৮ জুলাই এক দফায় গ্রাম বাংলার ভোট করানোর কথা ঘোষণা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল ।হাতে মাত্র একটি মাস। কিন্তু রীতিমতো চিন্তিত গেরুয়া শিবির। কারণ দেওয়াল লেখার লোক নেই। তাই একাধিক এজেন্সি দিয়ে গ্রাম বাংলার মাটিতে মাটির দেওয়ালে পদ্মফুল আঁকাতে প্রস্তুতি নিয়েছে পদ্ম শিবির। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা মেদিনীপুর হুগলি হাওড়া এই জেলা গুলিতে এজেন্সির লোকেরা দেওয়ালে দ্রুততার সঙ্গে বিজেপির পদ্ম ফুল আঁকবে। সেই পদ্ম ফুলের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার কি কি জনমুখী কাজ করেছে তার বিবরণ থাকবে। কিন্তু দেওয়াল আদৌ খালি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ রয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণের আগেই গ্রাম বাংলার সব দেওয়ালে জোড়া ফুল চিহ্ন ইতিমধ্যে অঙ্কনে ফুটিয়ে ফেলেছে তৃণমূলের কর্মী - সমর্থকরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নব জোয়ার কর্মসূচিতে গ্রাম বাংলার মেঠো পথে উঠেছে রাজনৈতিক ঝড়। আর তাতেই গেরুয়া শিবিরে কর্মী এবং দেওয়াল লেখার শিল্পীর ভাড়ার শূন্য। গেরুয়া শিবিরের এক দায়িত্ববান নেতার বক্তব্য গ্রাম বাংলার সব বুথে এখনো গেরুয়া কর্মীদের এক করা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রয়েছে চরম ঘাঁটতি। যার দায় বঙ্গ গেরুয়া নেতৃত্ব কখনোই এড়াতে পারে না। ওখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে দেবার লেখার লোক যেখানে নেই সেখানে প্রার্থী এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে এজেন্ট দেওয়ার কর্মী কে যোগান দেবেন ? এই ঘাটতি তো আর এজেন্সি দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। এর আগে বঙ্গ সফরে এসে একাধিকবার শেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনকে বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেডকে ফোকাস করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct