নকীব উদ্দিন গাজী, কাকদ্বীপ, আপনজন: ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও কাকদ্বীপের একটি মৃতদেহ আসার পরেও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ গ্রহণ করতে পারল না, ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও কাকদীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুর ৬৪ নম্বর বুথের পাঁচ সদস্যের মধ্যে ২ সদস্য মৃত সনাতনকরণ করার পরে বাড়িতে ফিরলেও তিন সদস্যর মৃতদেহ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজের এক মৃতদেহ কাক দ্বীপে নিয়ে আসে বালেশ্বর এলাকা থেকে। মৃত সামসুল হুদা সেক নামে বছর তিরিশের এক যুবকের দেহ বলে জানা যায় । মৃতদেহ বাড়িতে ফিরলেও গ্রহণ করতে পারল না বাড়ির লোকজন । মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে বডি ময়না তদন্ত করার সময় মৃতদেহের পোশাকের মধ্যে থেকে আধার কার্ড পাওয়া যায়। রাজা সাহানিয়া বিহারের বাসিন্দা। শুরু হয় জটিলতা মৃত শেখ শামসুল উদার বডি নয়। এই মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে শামসুল হুদার পরিবার। অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পুরায় পাঠিয়ে দিল উড়িষ্যার বালেশ্বর। এর পাশাপাশি পরিবারের লোকের জন্য সঙ্গে কথা বললে জানা যায় শামসুর হুদা শেখ ছাড়াও আরো দুজনের মৃতদেহ এখনো পর্যন্ত খোঁজ পায়নি, আদুল মাজিত সেক(৪৭) গিযাসউদ্দিন সেক(৩৪), এখনো তিনজনকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা যদিও একজনার বডি পাওয়া গেলেও সেটা আবার অন্য রাজ্যের মৃতদেহ। প্রশ্ন হচ্ছে মৃতদেহ আসার আগে সঠিক শনাক্তকরণ হচ্ছে না কেন পরিবারসহ এলাকার মানুষজন লোকজনের দাবি, বিগত সাত দিন কেটে যাওয়ার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাচ্ছে না? কবে পাবে সেই আশায় রযেছেন পরিবারের লোকজন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct