আপনজন ডেস্ক: এই গরমে ছোট থেকে বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এতে পাল্লা দিয়ে হিট স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমানে জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে বেশিরভাগ শারীরিক সমস্যাগুলোই জলের অভাবে সৃষ্টি হয়। তাই দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল অবশ্যই পান করতে হবে। আর যারা বাইরে কাজ করেন তাদের উচিত আরও বেশি পরিমাণে জল পান করা।শরীর ঠান্ডা করতে এ সময় আইস ওয়াটার বা ঠান্ডা জল দিয়ে বারবার শরীর ধোওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রবল গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এ সমস্যা কাটানোর একমাত্র উপায় হলো স্নান করা।তাই সময় পেলেই স্নান করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্তি কোনও জিনিষ শরীরের পক্ষে ভালো নয়। গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এ সমস্যাটিরও মূল কারণ হলো শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ আগে থেকে বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। হিট স্ট্রোক হলে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। আর ঘাম হয় ঘাম না হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। তবে হিট স্ট্রোক হলে তা থেকে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। গরমে মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরার মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে রোগীকে ঠান্ডা জলে স্নান বা ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাইরে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও সঙ্গে ছাতা বা টুপি অবশ্যই রাখুন। প্রয়োজনে দ্রুত কাজ সেরে ঠান্ডা স্থানে থাকুন। এ সমস্যা এড়াতে বেশি করে খেতে হবে, প্রয়োজনে লবণ পানি বা স্যালাইন পান করতে পারে। ছায়া বা ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে বমি হওয়া, মাথাব্যথা ও দুর্বলতা থাকলে ধরে নিতে হবে ‘হিট এগ্জরশন’এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ ধরনের অসুস্থতা বোধ করলে পোশাক ঢিলে করে দিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct