ইসরাফিল বৈদ্য, বসিরহাট, আপনজন: ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের পাঁচটি মুল স্তম্ভের অন্যতম হজ্ব। সেই উদ্দেশ্যে আরব দেশের মক্কা নগরীতে উপস্থিত হতে হয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে। চলতি বছর হজ্বের প্রথম উড়ান কলকাতা থেকে রহনা দেবে ২১ শে মে। সেই উপলক্ষ্যে রাজ্য হজ্ব কমিটি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ পরিচালনা করে চলেছে। চলতি বছর বাংলার প্রায় দশ হাজার হাজীদের ট্রেনিং প্রতিটি জেলায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট রবীন্দ্র ভবনে ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয় এক হাজারের অধিক হাজীদের উপস্থিতিতে। দীর্ঘ সময় ধরে হজ্ব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোকপাত করেন হজ্ব কমিটি দ্বারা নিযুক্ত ব্যক্তিরা।
উক্ত ট্রেনিংয়ে রাজারহাট নিউটাউন মাঝেরআইট পীরডাঙ্গা দরবার শরীফের অন্যতম পীরজাদা তথা উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, হজ্ব কমিটির সদস্য পীরজাদা আলহাজ্ব একেএম ফারহাদ বলেন বাংলার শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় হাজীদের ভুমিকা প্রশংসনীয়। বাংলা তথা দেশের সামগ্ৰিক কল্যানে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়ার আর্জি রাখেন তিনি। পাশাপাশি বলেন পরিবর্তনের পর রাজ্যের হাজীদের পরিষেবায় রাজ্য সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে হজ্ব অপারেশন সম্পন্ন হচ্ছে। হাজীদের পরিষেবায় কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সহ দপ্তরের মন্ত্রী, হজ্ব কমিটির চেয়ারম্যান নাদিমুল হক, প্রধান সচিব মোঃ গোলাম আলী আনসারী, বিশেষ সচিব শাকিল আহমেদ, কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোঃ নাকি সহ দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার জেলাশাসক শ্রী শরদ কুমার দ্বিবেদী, অতিরিক্ত জেলাশাসক মনীশ মিশ্র সহ অন্যান্য আধিকারিকদের তৎপরতায় জেলায় হাজীদের পরিষেবা সুষ্ঠু ভাবে চলছে বলে তিনি জানান। হাজী রহমান মোল্লা ট্রেনিং পরবর্তীতে বলেন হাজীদের পরিষেবায় রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। হাজীদের সব রকমের পরিষেবা, ঠিকভাবে খতিয়ে দেখতে হজ্ব কমিটির সেবক একেএম ফারহাদ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লিখিত ব্যক্তি জানায়। উক্ত দিনের ট্রেনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হজ্ব কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, পীরজাদা আলহাজ্ব রাকিবুল আজিজ বাখতেয়ারি, আধিকারিক সৌমাল্য ঘোষ, আয়ুব আলী, রাজিবুল, মুজিবুর রহমান, প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct