এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: নলকূপ রয়েছে কিন্তু সেই নলকূপের জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়, তাই কয়েক ক্রোশ পথ হেটেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পানীও জল নিয়ে আনতে যেতে হতো। প্রায় কয়েক বছর পরে সত্তর হাজার টাকা পেয়ে এলাকার কাউন্সিলর ভাস্কর মিত্রের উদ্যোগে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হলো একটি পানীয় জলের মেশিন। ঘন্টায় একশো লিটার জল তুলতে সক্ষম এই বিশেষ মেশিনটি। বসিরহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার পঞ্চানন দালাল ইনস্টিটিউটে এই পানীয় জলের মেশিনের ফিতে কেটে শুভ সূচনা করলেন বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি ভাস্কর মিত্র, বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি পল্টু দাস, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুপ ঘোষ। বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি বলেন, আজকে পঞ্চানন দালাল ইনস্টিটিউটে স্বচ্ছ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলো, যাতে বাচ্চারা স্বচ্ছ পানীও জল খেতে পারেন। আজ কাউন্সিলর ভাস্কর মিত্রের উদ্যোগে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের আরো কয়েকটি সমস্যা রয়েছে চেষ্টা করছি আমার তরফ থেকে কতটা কি করা যায়। এদিন বসিরহাট ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ভাস্কর মিত্র বলেন, বহু পুরাতন এই স্কুল, বসিরহাট কলেজ পাড়ায় অবস্থিত। কিন্তু বহু বছর ধরে ই এখানে একটাই সমস্যা ছিল পানীয় জলের সমস্যা। এখানকার প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির আবেদনে সাড়া দিয়ে একটি পানীয় জলের মেশিনের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা স্বচ্ছ পানীয় জল পান করতে পারেন। আরো বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে স্কুলে। আস্তে আস্তে সেই সমস্যাটা মিটিয়ে মডেল স্কুল তৈরি করতে যাচ্ছি আমরা। এদিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপ ঘোষ বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে চারশো ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন, কিন্তু আমি এই ১৬ বছর ধরে একটাই কষ্টে দিন গুজারান করছিলাম পানীয় জল নিয়ে। আমাদের এখানকার জনপ্রতিনিধি ভাস্কর মিত্র তার উদ্যোগে বাচ্চাদের জন্য যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আমি আরো খুশি আজ আমাদের স্কুলে বিধায়কের মত মানুষকে পেয়ে। আমাদের স্কুলের সমস্যার কথা জানিয়েছি তারা দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিচালন সমিতির সভাপতি পল্টু দাস বলেন, আমরা এই উদ্যোগকে জনপ্রতিনিধি ভাস্কর মিত্রকে সাধুবাদ জানায়। এক স্কুল ছাত্রী জানন, আমাদের স্কুলে পানীয় জলের সমস্যা ছিল বহুদিন ধরে। পানীয় জল পান করতে হলে স্কুল থেকে অনেক দূর যেতে হতো। আজ আমরা এই পানীয় জল পেয়ে খুশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct