আপনজন ডেস্ক: এই মুহূর্তে প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। তার মধ্যেই জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবীদের কষ্ট বেড়েছে। যার ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থতার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ জল খেতে হবে। একই সঙ্গে তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গরমে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে স্ট্রোক হতে পারত। গত এক সপ্তাহ ধরে গরমে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত জটিলতার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এ ছাড়া ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, জলশূন্যতা, শ্রমজীবীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের রোগী বেশি। বাইরে কাজ করতে গিয়ে কারও হঠাৎ বমি হলে দ্রুত প্রেশার বেড়ে যায়। এমন রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ডে রেফার করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে জটিল রোগীদের দ্রুত ভর্তির ব্যবস্থা করা উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে কাশি, সর্দির সঙ্গে কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় হিট স্ট্রোক, ব্রংকিওলাইটিস হতে পারে। শিশুদের নিউমোনিয়াও হতে পারে। গরমে ডাবের জল ও ওরস্যালাইন বেশ কাজে দেয়। হালকা রঙের সুতি জামাকাপড় পরা, বাইরে থেকে ঘরে ফিরে শরীর বাতাসে জুড়িয়ে নিয়ে গোসল করা প্রয়োজন। এই গরমে শিশুদের দেহে দ্রুত জলশূন্যতা দেখা দেয়। জলশূন্যতার প্রথম লক্ষণ শিশুদের মেজাজ অস্থির হয়ে যায়, কান্না করে। অনেক সময় বাবা-মা বুঝতে পারেন না, বাচ্চা কীসের জন্য কান্না করছে। শিশুর অসুস্থতা নিয়ে ভয় নয়, সজাগ থাকতে হবে বয়স্কদের। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় হাত ধুয়ে দিতে হবে। নিয়মিত তাদের স্নান করাতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct