মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমানের উপর দিয়ে দুর্গাপুর ,আসানসোল ও প্রতিবেশী রাজ্যের মাফিয়াদের দৌড়াত্ম ভাবিয়ে তুলেছে বর্ধমান পুলিশকে। শান্ত বর্ধমানে প্রকাশ্যে গুলি ও হত্যাকান্ড বর্ধমানের মানুষ সচারচর দেখেনা। গত কালের হত্যাকান্ডের পর একটি নীল রঙের চারচাকা উদ্ধার করলো শক্তিগড় থানার পুলিশ। শনিবার রাতে যে গাড়িতে করে এসে দুষ্কৃতিরা রাজেশ ঝাঁকে গুলি করেছিলো এটি সেই নীল রঙের গাড়ি বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গলত উল্লেখ্য ‘পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করে খুন ‘ করা হলো কয়লা কান্ডে জরিত রাজেশ ঝাঁ ওরফে রাজুকে। পর পর ছয় থেকে সাতটা গুলি করা হয়।গুলিবিদ্ধ হন রাজুর এক সঙ্গী ব্রতীন মুখার্জিও। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। ঘটনার পর ওই রাতেই দুষ্কৃতিরা যে গাড়িতে করে এসে গুলি করেছিলো সেই নীল গাড়ির হদিশ পায় শক্তিগড় থানার পুলিশ ।শক্তিগর থানার পেরিয়ে কিছু দুরেই এই গাড়িটি পরেছিল। অনুমান করা হচ্ছে গাড়ি ওখানে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা।এদিকে আজ রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মর্গে রাজেশ ঝাঁর ময়নাতদন্ত হয় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে।বর্ধমান ও শক্তিগর থানার পুলিশ হাজির ছিলো মর্গে । আহত ব্রতীন মুখার্জী বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে। সূত্রে জানা গেছে যেই গাড়িটিতে রাজু ঝাঁকে খুন করা হয় সেই গাড়ির মালিকের নাম শেখ আব্দুল লথিফ। তার বাড়ি বোলপুরে । ২০২০ সালে এই গাড়িটি কেনা হয়, এবং যে গাড়িতে দুষ্কৃতিরা এসে খুন করে, সেই ব্লু গাড়িটির মালিকের নাম শাশ্বতী চক্রবর্তী কলকাতার বাসিন্দা ২০১৭সালে গাড়িটি কেনা হয়। সম্পূর্ণ বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct