নুরুল ইসলাম খাঁন, কলকাতা, আপনজন: মদ্য প্রয়াত হয়েছেন বিদগ্ধ পন্ডিত ও ইসলামী চিন্তাবিদ উসমান গনি। শুক্রবার দেদার বক্সলেনে তার এক স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আইনজীবী, সাহিত্যিক, লেখক ও খ্যাতমান ব্যকতিদের উপস্থিতিতে আজকের সভা ঋদ্ধ হয়। বিধায়ক অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল গনি, তিনি ছিলেন প্রগাঢ় পন্ডিত ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ছিলেন। তাঁর সাধারণ জীবন যাপন মানু কে অবাক করেছিল। বর্ধমানের কেতুগ্ৰাম তাঁকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, বহু গ্ৰন্থ প্রণেতা উসমান গনি মাত্র কিছুদিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। তার পুত্র অধ্যাপক ড,কাশশফ গনি (নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়)। উসমান গনি পার্ক সার্কাসে বসবাস করতেন। তার লিখিত গ্ৰন্থের সংখ্যা ৫২ছাড়িয়ে গেছে। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সৃষ্টিশীল মূল্যবান রচনা প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ করে কোরান হাদিসের আলোকে তার মূল্যবান গবেষণামুলক পুস্তকগুলি সমাজে জ্বল জ্বল করে বেঁচে থাকবে বলে এদিনের স্মরণসভায় বলেন বক্তারা। তার গুণমুগ্ধ স্বজন, আত্মীয়-পরিজন ও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্যোগে একটি গ্ৰন্থাগার নির্মানের পক্ষে বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। শীঘ্রই চালু হবে এই পুস্তকের সম্ভার প্রদর্শন। এই বিদগ্ধ পণ্ডিতের স্মরণে ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে এদিনের সভার আয়োজন করেছিলেন শিক্ষাবিদ আবু সালেহ মুহাম্মদ রেজওয়ানুল করিম ও এস এম সিরাজুল ইসলাম।দোয়া করেন মহম্মদ আলি ইউসুফ সামবিল। বলা ভাল তাঁর সৃষ্টিশীল লেখা সমৃদ্ধ করেছে দুই বাংলাকে। ড. উসমান গনির স্মরণে একটি স্মরণীকা প্রকাশিত হবার কথাও উচ্চকিত হয়। প্রসঙ্গত
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক উসমান গনি। তিনি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকাতে তিনি বহু নিবন্ধ লিখেছেন। নবীজীবনী ছাড়াও চার খলিফার জীবনী লিখেছিলেন ড. উসমান গণী। এদিনের এই স্মরণ সভায় বিশিস্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, প্রাক্তন বিধায়ক ডা. নুরুজ্জামান, সাংবাদিক গোলাম গাউস সিদ্দিকী, আনসার আলী মন্ডল, আইনজীবী এ রাজ্জাক, বিশিষ্টি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. প্রকাশ মল্লিক প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct