নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: বাংলার নামে প্রতিনিয়ত বদনাম করে বেড়ান যারা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বদনাম করে বেড়ান যে সব বিরোধীরা, তাঁদের সকলের জন্য বড় ধাক্কা। মমতার বাংলাতেই আসছে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ । নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ডিভি সি রাজ্যের ইস্পাতনগরী হিসাবে পরিচিত দূর্গাপুরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলতে চলেছে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দুর্গাপুর থার্মল পাওয়ার স্টেশন’র জমিতেই গড়ে উঠবে এই অত্যাধুনিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর সেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। সরাসরি কাজ পাবেন ৩০০’রও বেশি লোক। ঠিকাদারের অধীনে নিয়োগ হবে আরও হাজার খানেক। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে উঠবে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ফলে, সেভাবে দূষণ ছড়ানোর ভয় থাকছে না। এলাকার শিল্পবিকাশে সহায়ক ভূমিকা নেবে এই নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বিশ্বের যে কোনও শিল্পাঞ্চলের শক্তির আধার বিদ্যুৎ। শিল্প-কল কারখানার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ। যার বেশিরভাগটাই সরবরাহ করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিল দুর্গাপুর প্রজেক্ট। পরবর্তী ক্ষেত্রে ডিভিসির বা ডি টি পি এস তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে যা শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুতের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সেই সব সোনালি দিন অতীত হতেই ধুঁকতে শুরু করে ডি পি এল। একই সঙ্গে ডিটিপিএসে’র একটির পর একটি ইউনিট ও বন্ধ হতে থাকে। সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাদের ২১০ মেগাওয়াটের ইউনিট ও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম অসন্তোষ দেখা দেয় শিল্পাঞ্চলে।এই অবস্থায় নতুন করে তাপবিদ্যুৎ কারখানা গড়ে তোলা ছাড়া রাজ্য সরকার বা ডিভিসি’র কাছে বিকল্প কোনও রাস্তাও ছিল না। কার্যত রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই ডিভিসি দূর্গাপুরের বুকেই নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে রাজী হয়েছে। ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রই ডিভিসির’র ইতিহাসে একক বৃহত্তম কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে রাজ্যের স্টিল সিটিতে-তেই ২০২৮ সালের এপ্রিলের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই বড় অঙ্কের বিনিয়োগের হাত ধরে দুর্গাপুরের বুকে নতুন করে শিল্পসম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, শুধু দুর্গাপুরে নয়, পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরেও ৬৬০ মেগাওয়াটের আরও দু’টি নতুন ইউনিট বসাতে চলেছে ডিভিসি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct