আনোয়ার হোসেন, নন্দীগ্রাম, আপনজন: নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। এ উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট বার্তাই ১৪ মার্চকে বাংলার ইতিহাসের ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করলেন। মঙ্গলবার ট্যুইট করে এমনটাই বলেন তিনি। পর পর দু’টি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘১৪ মার্চ বাংলার ইতিহাসে একটি কালো দিন। নন্দীগ্রামের ঘটনা ছিল বাংলার অসহায় কৃষকদের উপর বর্বর হামলা, ১৪ জন শহিদ হন এবং অগণিত গ্রামবাসী রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হিংসার শিকার হয়েছিলেন।’ দ্বিতীয় টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘১৬ বছর পর বাংলা কৃষি নেতৃত্বাধীন একটি রাজ্য হিসাবে উঠে এসেছে। এই রাজ্য কৃষকদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। কৃষকদের মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে সক্ষম করেছে এই রাজ্য।’’তিনি আরও লিখেছেন, ‘’নন্দীগ্রাম দিবস আমাদের অদম্য লড়াইয়ের মনোভাব এবং রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দাকে সুরক্ষিত করার জন্য নিরলস উদ্যোগের একটি সাহসী দৃষ্টান্ত।’ নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম না করেই এ দিন তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসক দলকে তৃণমূলকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘সিপিএমকে সাফ করেছি,পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে জবাব দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমা বলেন, ‘যারা এসব বলছেন, তারা নিজেরা কবে গ্যারেজ হয়ে যাবেন তা জানেন, উনি আসলে অমাবস্যার চাঁদ। এক ভুঁইফোঁড় বিজেপি নেতা আজ শহিদ তর্পণ করতে এসেছেন। সেদিন শহিদ করেছিল যারা ,রক্তে রাঙা তাঁদের হাত ধরে শহিদ তর্পন করতে এসেছে। নাকি গ্যারেজ করে দেবেন। উনি নিজে গ্যারেজ হয়ে যাবেন। গ্যারেজ ওনার কপালে লেখা আছে। আদালতের নির্দেশে সাড়ে ১০টার পর নন্দীগ্রামের সভা করার অনুমতি মেলে তৃণমূলের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অখিল গিরি, ফিরজা বিবি, সৌমেন কুমার মহাপাত্র, মাওলানা আব্দুস সামাদ সহ অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct