সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: সেতু জ্বলে না কিন্তু চলে! অর্থাৎ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের শোনপুর সড়ক সেতুতে জ্বলে না আলো কিন্তু চলে আঠারো বছর বয়সী অর্থাৎ যুবকদের আড্ডা। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে উদ্বোধন হয় ভাঙড়- লাউহাটি রাস্তার উপর শোনপুর-চিনিপুকুর সড়ক সেতুটি। বাগজোলা খালের উপর নির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাম সরকারের পূর্ত ও সড়ক বিভাগের মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সেতুটিতে তখন আলো জ্বলত নিয়মিত। স্থানীয় সূত্রে খবর বছর পাঁচেক ধরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে আলো জ্বলা। একে একে ঠেকেছে একে! অর্থাৎ এখন জ্বলে মাত্র ১ টি আলো। তাও মিটিমিটি করে। সেতুটিতে ছিল মোট ২৫ টি আলোক স্তম্ভ। বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে ২১ টি আলোক স্তম্ভ। উধাও আস্ত চারটি স্তম্ভ।২১ টি আলোক স্তম্ভ মাথা উঁচু করে দন্ডায়মান এখনও। কিন্তু তাদের আর নিজে থেকে আলো দেওয়ার ক্ষমতা নেই। চাঁদের আলোয় কখনও কখনও তারা নিজেরা আলোকিত হয়। ।তবে সেতু বা সেতুর চারপাশে নিজের আলো ছড়াতে পারে না স্তম্ভ গুলো। তাই যেন লজ্জায় তাদের মাথা হেঁট!প্রশাসনিক সহায়তা পেলে তারা জ্বলে উঠতে চায়। জ্বালাতে চায় সবাইকে। এলাকার সাধারণ মানুষও চান আলো জ্বলুক সেতুতে। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতুতে চলা যুবকদের আড্ডা বন্ধ হোক। এতে বাড়বে সেতুর সৌন্দর্য; পরিবেশ হবে শান্ত। স্থানীয় দোকানদার শরাফ উদ্দিন মোল্লা আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। আগের মতো জ্বলে উঠুক আলো গুলো। বন্ধ হোক আড্ডাখানা। সুন্দর একটা পরিবেশ ফিরে আসুক। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম মোল্লা আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন,” বাজার কমিটির পক্ষ থেকে আলো লাগানোর বিষয়ে চিটি চিঠি জমা পড়েছে পঞ্চায়েত সমিতিতে। যত শীঘ্রই সম্ভব আলো গুলো লাগানোর ব্যপারে পঞ্চায়েত সমিতি পদক্ষেপ করবে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct