রঙ্গিলা খাতুন, ভরতপুর, আপনজন: কিশোরী খুনের তদন্তে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল ভরতপুর থানার পুলিস। রবিবারের ওই ঘটনা স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের। পরে সেখানে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি পৌঁছে বাসিন্দাদের আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল দেহ। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই গৃহশিক্ষককে। আদালতে হাজির করানোর পর পুলিশ নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে ওই গৃহশিক্ষককে। এবার সেই ঘটনার জেরে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রবিবার সকাল থেকেই ভরতপুর থানার অন্তর্গত আমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে পুলিশ ঢুকতে গেলে বিক্ষোভ দেখানো হল পুলিশকে। পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের ফাঁসির দাবি করেছে বিক্ষোভকারী গ্রামের বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামের এক কিশোরীর নগ্ন পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপর থেকেই সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গ্রামের মহিলারা বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। আতঙ্কের কারণে ছাত্রীরা স্কুলেও যেতে পারছে না বলে অভিযোগ। এদিন বাসিন্দারা দাবি করেন, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের সাথে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর খুনের ঘটনায় পুলিস ইতি মধ্যে তার প্রেমিককে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস হেপাজতে নিয়ে ধৃতকে জীজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। এরপর তদন্তে গতী আনতে এদিন গোপালপুর গ্রামে ভরতপুর থানার এক অফিসার গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস সেখানে পৌঁছতেই বাসিন্দারা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মহিলারা জড়ো হয়ে পুলিশকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানান। খুনের ঘটনায় আরও অনেকে জড়িয়ে আছে বলে বাসিন্দারা দাবি করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct