আপনজন ডেস্ক: কিউই ফল। শুধু দেখতে সুন্দর নয়, এর পুষ্টিগুণও নজরে পড়ার মতো। শাঁসালো সবুজ রঙের এই ফলটি টকজাতীয়। এতে অ্যাকডিটিডিন নামক এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে যা মাংস নরম করতেও সাহায্য করে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ নানা উপাদানে ভরপুর কিউইকে সুপারফুডও বলেন। কিউইতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। মূলত ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ কিউই। এই দুটিই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এতে থাকা একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন এন্ড ক্যান্সার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, কিউই-এর ক্যান্সারবিরোধী গুণও রয়েছে। পেট ভালো রাখতেও ব্যবহার হয় কিউই। এই ফলে ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক হজম সহযোগী এনজাইম। যা পেট ভালো রাখে। অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রাখতেও সাহায্য করে কিউই। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে পারে কিউই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি প্রদাহ রুখতেও সাহায্য করে। এই ফলে থাকা একাধিক কার্টেনয়েডন- লিউটেনিন চোখ, মস্তিষ্ক, লিভার বা যকৃৎ এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়। কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনকে রয়েছে। যা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক হার বজায় রাখতে সাহায্য করে। রক্ত জমাটের হার অতিরিক্ত হওয়া বা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া দুটিই ক্ষতিকর। ফলে এই হার স্বাভাবিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় কাজ ঠিকমতো চালাতে একাধিক খনিজের উপস্থিতি প্রয়োজন। যার মধ্যে অন্যতম হলো পটাশিয়াম ও কপার। এই দুটি পাওয়া যায় কিউই-তে। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। যাতে কোষে জলের পরিমাণ কমে না যায়। রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে এতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct