আপনজন ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে তিনিই প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) এই নেতা নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী। সদ্য প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করা নিকোলা স্টারজনের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। হামজা ইউসুফ গত ২০ ফেব্রুয়ারি গ্লাসগো থেকে প্রায় ৮ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ক্লাইডব্যাঙ্ক শহর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। ১৯৬২ সালে সপরিবারে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে পাড়ি জমান। ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছিলেন স্কটিশ সরকারের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মন্ত্রী। ২০১৬ সালে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) সদস্য হিসেবে গ্লাসগো পোলোকের স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্লাসগো অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈচিত্র্যময় নীতির প্রশংসা করে হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার দাদা কখনো কল্পনা বা স্বপ্নেও দেখেননি যে তাঁর নাতি স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্বাচন করবে। আমি বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিভক্তি দূর করার প্রয়োজনীয় দক্ষতা আমার রয়েছে।’ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টারজনের সামাজিক প্রগতিশীল নীতিকে সমুন্নত রাখাতে অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি। এদিকে ৫৭ বছর বয়সী স্কটিশ সংস্কৃতি সচিব অ্যাঙ্গাস রবার্টসন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই ৩৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ৩২ বছর বয়সী কনজারভেটিভ অর্থমন্ত্রী কেট ফোর্বস। তাঁরা উভয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। স্কটল্যান্ডে প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিম বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বসবাস গ্লাসগো শহরে। দেশটিতে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। দেশটিতে প্রায় ৩০টির মতো মসজিদ রয়েছে। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে যা ২৭ মার্চ শেষ হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct