মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: মাসে ১২০০০ টাকা মাহিনার পরিবর্তে রোদ ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে ভেড়া চড়িয়ে বেড়ায় এরা , ভেড়া রাখাল নামে পরিচিত । এদের থাকে না কোন ভয়ডর। প্রবল বজ্রপাতের সময়েও ফাঁকা মাঠের মধ্যেই থাকে এরা। তবে চাষিরা তাদের কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছু টাকার বিনিময়ে ভেড়া রাখেন। কারণ ভেড়ার মল-মূত্র জমির উর্বরতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করে।খণ্ডঘোষের গোপাল বেরা অঞ্চলের বামুনপুকুর গ্রামে দেখা মিলল ভেড়া চড়াতে নিয়ে আসা বিহারের কিছু বাসিন্দাদের। তারা ভেড়ার লোম কাটতে ব্যস্ত। এই লোম তারা বিক্রি করে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কিলো দরে। এই লোম থেকে তৈরি হয় কম্বল,আসন সহ অনেক কিছুই। অতিবৃষ্টি শুরু হলে আবার বিহার ঝাড়খন্ড পাহাড়ি এলাকায় উঁচু জমিতে চলে যায় তারা । আবার বর্ষা শেষ হলে দেশের বিভিন্ন সমতল জমিতে ভেড়া নিয়ে পৌঁছে যায় ভেড়া সমেত রাখালেরা। অদ্ভুত জীবনের অধিকারী , বাড়িতে বউ সন্তান সব থাকা সত্ত্বেও খুব কম সময়ে বাড়িতে পৌঁছায় তারা। সংসার ও জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে জীবনের ঝুঁকিকে মাথায় করে দেশ দেশান্তরে পৌঁছে যায় এই রাখালেরা। যাযাবর জীবন থেকেও কোন অংশে কম নয় তাদের কাহিনী। বিভিন্ন জায়গার মানুষেরা তাদের কে সমীহ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদেরকে সাহায্য করে থাকে। জীবন জীবিকার সন্ধানে এই যাযাবরদের বিচরণ এভাবেই চলতে থাকে নানা রাজ্যের নানা প্রান্তে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct