সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভালো। বিভেদকামী শক্তির মোকাবিলা করবে রাজ্য। বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যের প্রশংসা করে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি যখন তার উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করছেন তখন দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের সামনেই কাগজ ছুড়ে দেয় গেরুয়া শিবির। তারপরেই গেরুয়া শিবির ওয়াক আউট করে। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের বক্তব্য শাসক শিবিরের বিধায়করা মন দিয়ে শুনেছেন। বিজেপি বিধায়কদের ‘উস্কানো’তে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করা হয়নি। এদিন রাজ্যপাল বলেন, সকলে অবগত যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত বছর অতিবাহিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে রাজ্য সর্বদা তৎপর। আরও বলেন, বৈচিত্রপূর্ণ ঐতিহ্যের প্রতিফলন এটাই যে, আনন্দ ও সৌহার্দ্যের বাতাবরণে সব রকমের ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। বাংলার দিকপাল পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং সিরিয়াল তারকার প্রয়াণে এদিন শোকজ্ঞাপন করেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার অতিমারির মোকাবিলা করেছে দক্ষ ভাবে। মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে রাজ্য সক্ষম হয়েছে। বলেন, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট রুখতে রাজ্য সমস্ত ভাবে প্রস্তুত। টিকা নিয়েও রাজ্যের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। ৪৮,০৬২. ৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ। বলেন, ৩০ শতাংশ জিএসটি আদায় বেড়েছে, বৃত্তি কর সংগ্রহ বেড়েছে ১২ শতাংশ, বিদ্যুৎবিল সংগ্রহ ৮৯ শতাংশ বেড়েছে, আবগারি মাশুল সংগ্রহ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রাজ্যের ভাষণ পাঠ করে এরপর বিধানসভা ছেড়ে রওনা দেন রাজ্যপাল। তখনও তাঁর গাড়ির দিকে বিজেপি বিধায়করা কাগজ ছুঁড়তে থাকেন। গেরুয়া শিবির রব তোলে, ‘রাজ্যপাল হায় হায়’, ‘গো ব্যাক’। যা ঘিরে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বারাসতের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মতো পক্ষপাতিত্ব আশা করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তবে যখন ওঁরা আবারও দেখেন যে বর্তমান রাজ্যপাল নিরপেক্ষ, তখন সৌজন্য ভুলে চূড়ান্ত অশালীন আচরণ শুরু করে বিজেপি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct