নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: জেলা লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি ও যাত্রা উৎসব” অনুষ্ঠিত হল কালিয়াচক-২ ব্লকের উত্তরলক্ষীপুর হাইস্কুলে। তিন দিন ধরে চলবে। গোটা জেলার লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি এবং যাত্রা সংস্কৃতির উন্নতি ও তুলে ধরার লক্ষ্যে ৩-৫ ফেব্রুযারি উত্তর লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে “জেলা লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি ও যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা একাডেমির উদ্যোগে মালদা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জেলা ও ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের পাই তিন ঘন্টা পর প্রদীপ প্রজ্জলন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সূচনা করেন মাধ্যমে সূচনা ও উদ্বোধনী ভাষণ দেন সভাধিপতি এটিএম রফিকুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক স্বাস্বতী সাহা, এছাড়া ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক শাশ্বতী সাহা জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত মন্ডল, প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সহ অনেকেই। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। চলবে রবিবার পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের তিন দিন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসী নৃত্য, গম্ভিরা, ভাওয়াইয়া , ডোমনি বাউল, গম্ভীরা ও মানব পুতুল নাচ ও ঢাকি বিভিন্ন শিল্পীরা লোক সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। প্রথম দিনই অনুষ্ঠান দেখতে বিশাল মানুষের ঢল নামে। তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন , “গোটা জেলায় গম্ভিরা, ভাওয়াইয়া, ডোমনি বাউল, গম্ভীরা ও মানব পুতুল নাচ ও ঢাকি বিভিন্ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ৩৭৬৮ জন শিল্পী রয়েছেন। প্রত্যেক মাসে ও অবসরপ্রাপ্ত সকলেই মাসিক সাম্মানিক ভাতা পান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরনায় এই শিল্পীদের পাশে সরকার রয়েছে। লোক শিল্পীদের পাশে থাকা ও শিল্পীদের কাজে উৎসাহ প্রদান ও বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে পুনর্জীবন দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct