আপনজন ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমের মহিলা সরকারি অফিসার ও কর্মচারীদের একাধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করছে সেখানকার রাজ্য সরকার। প্রস্তাব রাখা হয়েছে, একটির বেশি সন্তান নিলে পাওয়া যাবে বাড়তি বেতন। বাড়িতে সন্তান লালনপালনের জন্য সহায়তাকারী রাখলে তার বেতনও রাজ্য সরকার দেবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার খুবই কম—এমন উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে। পাহাড়ি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জনসংখ্যা বাড়াতে সেখানকার সরকারি মহিলা অপিসার ও কর্মচারীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানোর এ প্রস্তাব করেছেন। তার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, মহিলা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দ্বিতীয় সন্তান নিলে এক দফা বেতন বাড়বে। এর বেশি সন্তান নিলে বেতন আরও বাড়ানো হবে।
সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে এক অনুষ্ঠানে প্রেম সিং তামাং বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের মধ্যে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা খুবই কম। এটা সিকিমের জন্য বড় একটি সমস্যা। এই প্রবণতা দূরীকরণে আমাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে।’ প্রেম সিং তামাং আরও প্রস্তাব রেখেছে, নারী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সন্তান লালনপালনের জন্য বাড়িতে সহায়তাকারী রাখলে সেই অর্থও রাজ্য সরকার দেবে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের এক বছরের জন্য এ কাজে নিযুক্ত করা হবে। তারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। সিকিমের জনসংখ্যা মাত্র ৭ লাখ। কয়েক বছর ধরে রাজ্যটি জন্মহার (টিএফআর) নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাজ্যগুলোর মধ্যে সিকিমে টিআরএফ সবচেয়ে কম (১ দশমিক ১) ছিল। এর অর্থ হল, এই রাজ্যের মহিলা একটির বেশি সন্তান নিতে মোটেও আগ্রহী নন। বিশেষত সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিকিমের আদিবাসী ভুটিয়া ও লিমবু সম্প্রদায়ে একাধিক সন্তান নেওয়া প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এ জন্য গত নভেম্বরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ও প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের জনসংখ্যা বাড়াতে অধিক সন্তান নিলে তাঁরা এই অর্থ পাবেন। এরপর এখন একাধিক সন্তান নিলে মহিলা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বেতন বাড়ানোসহ বিশেষ সুবিধার কথা জানানো হল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct