সুলেখা নাজনিন, কলকাতা, আপনজন: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের কারখানা, অফিস, বাড়ি সহ প্রায় ২৮টি স্থানে আয়কর দফতরের হানা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয় আয়কর দফতরের হানা দেওয়ার পর জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারকানা থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা আয়কর দফতর প্রকাশ্যে আনায় বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। শুধু তা কোটিপতি এই শিল্পপতি বিধায়কের বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে নানা গল্প ফাঁদা হচ্ছে। এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম এই বিপুল টাকা উদ্ধার নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলা হচ্ছে কি করে এই বিপুল টাকার বাড়ি, অফিস বা কারখানায় রাখা যায়। যদিও ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের এই হানা নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছেন তৃণমূলের বিধায়করা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই রেইডের পিছনে পূর্ব পরিকল্পনা রয়েছে। না হলে তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে সমস্ত ছবি, তথ্য সংবাদমাধ্যমে চলে আসছে?
অন্যদিকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ১১ কোটি টাকা নগদ পাওয়া যাওয়ায় তার উড়স কি? এ নিয়ে যদিও এখনও আয়কর দপতর পরিষ্কার করে বলেনি, এই টাকা বেআইনি কিংবা বাজেয়াপ্ত। তাদের অভিযানে পাওয়া ১১ কোটি টাকা নগদ প্রাপ্তিরর খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে মিডিয়ায়। এ নিয়ে যদিও মুখ খুলেছেন খোদ বিধায়ক জাকির হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, এ সবই সবই কৃষক ও শ্রমিকের টাকা। তার বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সাত হাজার কর্মীর প্রতিদিনের মজুরি, চাল কলের জন্য ধান কিনতে নগদ টাকার যে প্রয়োজন হয়, তার জন্য এই টাকা রাখা বলে তিনি জানান। কিন্তু তার এই কথা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন তাই বলে ১১ কোটি টাকা নগদ থাকতে পারে একজন বিধায়কের। আসলে যারা শিল্পপতি জাকির সম্বন্ধে জানেন না তারাই এই প্রশ্ন তুলতে পারেন। তবে, মুর্শিদাবাদে সর্বজনবিদিত যে, প্রখ্যাত শিব বিডি সহ বেশ কয়েকটি বিডি কারখানা, শিব তেল মিল, রাইসি মিল সহ বেশ কয়েকটি বিএড, ডিএলএড কলেজ রয়েছে। শুধু বিড়ি শ্রমিক হিসেবে সাত হাজার জন কর্মরত। তাদেরকে দৈনন্দিন মজুরি মেটাতে হয় নগদেই। আর সম্পত্তি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে জাকির হোসেন মোট ৬৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকার মালিক। আর তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সর্বাধিক অায়কর দাতা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct