সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় মহাবিদ্যালয় এবছর ২৫ বছরে পদার্পণ করল। এই উপলক্ষে ঘটা করে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রজত জয়ন্তী বর্ষ পালন করে মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিতর্ক এড়াতে পারেনি রজত জয়ন্তী বর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠান। ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মহাবিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, বর্তমান পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা কর্মাধ্যক্ষ কাইজার আহমেদ, ক্যানিং পূর্বর তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লা প্রমুখ। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুনীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এখানে আমন্ত্রণ পাননি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভাঙড়ের প্রতিবাদী যুবক ইন্তিয়াজ হোসেন এবিষয়ে বলেন, “শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জীর প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু এনারা মূল অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ পান, আর আমাদেরই ভাঙ্গড়ের এমএলএ নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙ্গড় কলেজের বার্ষিক মূল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান না। রাজনীতির আগে সৌজন্যবোধ অনেক বড়।”বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী এবিষয়ে আপনজন প্রতিনিধিকে আক্ষেপের সুরে জানান, “আমি হয়তো এই অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত ছিলাম না। এমন অনুষ্ঠানে থাকতে পারলে ভালো লাগত। এই ধরনের অনুষ্ঠানে এলাকার জনপ্রতিনিধির উপস্থিতি কাম্য। আমাকে কেন বলা হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়।” ওপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য রজত জয়ন্তী বর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানে বেদগানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অশিক্ষক কর্মী আপনজনকে বলেন, “ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান বেদগান দিয়ে শুরু হল। ভাঙড়ে প্রায় সত্তর পার্সেন্ট মুসলিমের বাস। এখানে রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে উদ্বোধন করা যেত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct