সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: স্কুলের সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়েই হুমকির মুখে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি, ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি ব্লকের সাদিখারদেয়াড় বিদ্যানিকেতনের। দীর্ঘ লকডাউনে বিদ্যানিকেতন বন্ধ থাকার সুযোগে বিদ্যানিকেতনের জমিতে জবর দখল করে জাল দলিল বানিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে একদল মানুষ বলে সূত্রে বলে অভিযোগ, যা পূর্বাতন পরিচলন সমিতির নজরে ছিল না । গত এপ্রিল মাসে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন হওয়ার পর পরিচালন সমিতির উদ্যোগে বিদ্যানিকেতন এর সমস্ত সম্পত্তির কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখা যায় ইনাদপুর গ্রামের বড় বিল রঘুনাথপুর মৌজার ৫০৫১ /১খতিয়ানের ৮৯৩২/৯১১৩ দাগের পাকা রাস্তা লাগোয়া ১৬ শত জমির ওপর ছয় জন ব্যক্তি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বিদ্যানিকেতন পরিচলন সমিতি ও তার সভাপতি জানতে পেরে সেই অবৈধ নির্মাণ আটকানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে জলঙ্গি থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ করে। তার পরে শুক্রবার রাত্রি বেলায় অভিযুক্ত ছয় জন এর মধ্যে একজন ফোন করে হুমকি দেয় বলে সভাপতি ফিরোজ আহমেদ জানান। ফোনের অডিও শুনে এলাকায় ও বিদ্যানিকেতনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিদ্যানিকেতনের পরিচালন সমিতির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ জানান. আমরা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিদ্যানিকেতন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে ও বিদ্যানিকেতনের সম্পদ রক্ষায় দায়বদ্ধ। বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা লগ্নে এলাকার সাধারণ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানে এই বিদ্যানিকেতন গঠিত হয়েছে এবং প্রচুর মানুষ বিদ্যানিকেতনকে তাদের নিজ জমি দান করেছেন। সেই দানের পরিমাণ প্রায় ১৬৫ বিঘার কাছাকাছি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক খন্দকার গোলাম মোর্তজা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ফোনে সভাপতির সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং শুনেছি। আমি সব সময় বিদ্যানিকেতন পরিচলন সমিতির সঙ্গে আছি এবং যাই সিদ্ধান্ত হোক না কেন বিদ্যানিকেতনের উন্নতিতে ও স্বার্থে যৌথভাবে তার মোকাবিলা করব। যদিও ঘটনার কথা স্বীকার করে মঈদুল ইসলাম বলেন, গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে জমি কিনেছিলাম প্রায় তিরিশ বছর আগে এত দিন পরে হঠাৎ করে জানতে পারছি যে স্কুলের জমি এটা। স্কুলের নামে যদি দলিল থাকে তাহলে জমি ছেড়ে দেব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct