মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান: বর্ধমানের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন পীর বাহারাম মসজিদ। যে মসজিদের পাশে দুই ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ব শুয়ে আছেন। শের আফগান ও কুতুবুদ্দিনের কবর এখানে অবস্থিত। শের আফগানের স্ত্রী মেহেরুন্নিশা পরে ভারত সম্রাজ্ঞী নুরজাহান নামে পরিণত হন । ১৬০০ শতকে বাহরাম সাক্কা মক্কা রওনা হওয়া হাজীদের জল দান করার জন্য হাজিদের যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান করতেন।
শেরশাহের কাছে পরাজিত মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে এক সময় বাহরাম সাক্কা ওরফে পীর বাহরাম সাহায্য করেছিলেন। যিনি পারস্য থেকে পড়ে দিল্লি দরবারে আসেন এবং সম্রাট আকবরের প্রিয়ভাজন হয়ে পড়েন। আবুল ফজলের সঙ্গে মতবিরোধে তিনি শুবে বাংলার শরিফাবাদে অর্থাৎ বর্ধমানে চলে আসেন। এখানে যোগী জয়পাল এর আশ্রমে এসে অবস্থান করেন। প্রথমে যোগী জয়পাল এর সঙ্গে তর্ক পরে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। যোগী জয়পাল ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। যার কবর আজও দেখা যায়। পীর বাহরাম একাধারে আল্লাহর ওলী পীর বুজুর্গ এবং কবি হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মৃত্যুর পর সম্রাট আকবর ওই এলাকা মাজার মসজিদ দেখভালের জন্য মাসিক অর্থ খরচা করতেন। পীর বাহারাম মসজিদের বর্তমান সম্পাদক হাজী নাইয়ার। যিনি বর্ধমানের খাদিমুল হুজ্জাজ অন্যতম কর্ণধর। তিনি বলেন এই প্রাচীন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ,তালিম, তিন দিনের জামাত, গাস্ত এখান থেকে পরিচালিত হয়। প্রাচিন বর্ধমানের ঐতিহাসিক দলিল এই মসজিদ। পর্যটন দপ্তরের অধীন এই এলাকা বর্ধমানের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct