আপনজন ডেস্ক: শূন্যপদে অযোগ্যদের নিয়োগে ‘বেনামি আবেদন’ মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্ট তিন সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের উপরই এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। গত বৃহস্পতিবার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। বেনামি আবেদন মামলায় রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের হাজিরার নির্দেশ সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এখনই মণীশ জৈনকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন শূন্যপদে ‘বেনামি’ আবেদনের কৈফিয়ত তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।তবে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ইমেল মারফত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে আবেদন করে রাজ্য। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রাখে। অর্থাৎ সেখানেও ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপর রাজ্য শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। উল্লেখ্য , বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেক অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি ইতিমধ্যেই। এসএসসি-র পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে শূন্যপদে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আবেদনে তো সাড়া দেননি, বরং হলফনামা তলব করেন। তখন এসএসসি-র তরফে বলা হয়, এই সুপারিশ তাদের নয়। রাজ্যের তরফে। তাহলে কার সুপারিশে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের আর্জি করা হয়েছে?. সেই কৈফিয়ত পেতে রাজ্যের শিক্ষাসচিবকে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবারই আদালতে হাজিরা দেন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট তবে তা তিন সপ্তাহের জন্য। তিন সপ্তাহের পর এই মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ততদিন আপাতত স্বস্তি রাজ্যের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct