মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: প্রায় ৪০০ বছর আগে সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি রায়না ২ একলক্ষ্মীতে এসেছিলেন সুফি সাধক আল্লাহর ওলী সাহচান্দ আউলিয়া। সেইখানে তিনি গড়ে তুলেছিলেন মসজিদ, পরবর্তী ক্ষেত্রে তার মাজার ঘিরে হিন্দু মুসলিম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন আজও বহন করেছে ঐ এলাকায় । আনুমানিক ১৬৬১ , ৬২ সালে আগমন হয়েছিল পীর সাহচান্দের। এই পীরের সঙ্গে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনি খানের পরিবারের যোগ আছে। গনি খান নিজে এই জায়গায় এসেছিলেন।
পূর্ব বর্ধমানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা এই মসজিদ মাজারকে ঘিরে। বিভিন্ন লেখালেখি এবং পর্যটন দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর ট্যুরিজম অফিসার মহম্মদ হোসেন ঐ এলাকা পরিদর্শন করেন। রায়না ২ এর প্রাক্তন বিডিও দীপ্যমান মজুমদার পুরো এলাকা সংস্কারের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। গাছ গাছালির মনোরম পরিবেশে মাজার মসজিদ ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। বর্তমানে এই ৪০০ বছরের পুরনো মসজিদ রং করা হয়েছে এবং মসজিদ কমিটির সভাপতি বাদশা আলম দাবি করেন পর্যটনের অন্যতম নিদর্শন হতে পারে একলক্ষীর এই এলাকা। সরকার ঠিক মতো নজর দিলে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থা বদলে যেতে পারে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct