বাবলু প্রামানিক, বারুইপুর, আপনজন: জেরায় স্ত্রী পুত্র নিজেরাই স্বীকার করেছেন খুন করার কথা। শুধু খুন করাই নয়, ওই ব্যক্তির দেহ করাত দিয়ে পাঁচ টুকরো করে ফেলে দিয়ে আসেন তাঁরাই। বৃহস্পতিবার রাতে সেই দেহের একটি অংশ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বারুইপুরে। পুকুরে ভাসছিল দেহের ওপরের অংশ। হাত-পা কিছুই ছিল না। ইতিমধ্যেই স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর থানার মল্লিকপুর রোডের ডিহি মদনমল্য গ্রামের একটি পুকুরে দেহের অংশ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখে পুলিশকে খবর দেন। দেহ শণাক্ত হলে জানা যায়, সেটা প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ। বারুইপুর থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তি, তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
থানায় আসেন উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী ও ছেলে।এরপর পুলিশেক প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, নিজের ছেলেই খুন করেছেন উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে। শনিবারই মৃতের স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তী ও ছেলে জয় চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা বারুইপুরে শালেরপুরের প্রান্তিক আবাসনের বাসিন্দা। পুলিশ সুত্রে খবর মদের নেশা ছিল উজ্জ্বল চক্রবর্তীর। তা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হল প্রায়ই। পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তাঁর ছেলে জয়। গত ১৪ নভেম্বর, সোমবার ছেলের পড়ার খরচ নিয়ে বচসা হয়েছিল বলে পুলিশ সুত্রের খবর। এরপরই ছেলে বাবাকে গলা টিপে খুন করেন বলে পুলিশ জানতে পারেছে। খুন করার পরই করাত দিয়ে দেহ পাঁচ টুকরো করে ফেলেন মা ও ছেলে। রাতে দুজনে মিলে দেহ ফেলে আসেন আশপাশের বিভিন্ন জায়গায়। ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারের মধ্যেই ফেলে আসা হয় সেই দেহ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct