আপনজন ডেস্ক: জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে কাতার বিশ্বকাপের। অনেক আলোচনা-সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবং অনেক প্রথমের জন্ম দিয়ে মরুর বুকে অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এক ট্রফিতে চোখ রেখে লড়বে বত্রিশ দল। ভারতীয় সময় রাত ৮টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তার ঘণ্টা দেড়েক পরেই মাঠে নামে স্বাগতিক কাতার-ইকুয়েডর। আল বাইয়াত স্টেডিয়ামে হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। দর্শকরা উদ্বোধনী আয়োজন উপভোগের জন্য আগেভাগেই জড়ো হন গ্যালারিতে। ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মার্শেল দেশাই প্রথমে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী করেন স্টেডিয়ামে স্থাপিত মঞ্চে। তুমুল করতালি এবং চিয়ার্স ধ্বনির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি বরণ করে নেন দর্শকরা।বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শনের পরই মঞ্চে আসেন বিখ্যাত হলিউড অভিনয় শিল্পী মরগ্যান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপরই কাতারের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখান পারফরমাররা। একই সঙ্গে আলোর দুর্দান্ত সব কারুকাজ। এর মধ্যেই প্রদর্শিত হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা। মডেলদের দেখা গেলো প্রতিটি দলের জার্সি পরে মঞ্চে হাঁটতে। এ সময় দেখা গেলো একে একে বিশ্বকাপের সবগুলো মাস্কাটের প্রদর্শনী হতে। সর্বশেষ সবাইকে ছাড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইবের প্রদর্শন হতে। বিশাল আকারে সাদা জামা পরিহিত মাসকটের মাথায় কালো আরবীয় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বাঁধা। কাতারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার পর মঞ্চে আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীগোষ্ঠী বিটিএসের শিল্পী জুং কুক। তার সঙ্গে গানে অংশ নেন কাতারি সংগীত শিল্পী ফাহাদ আল কুবাইসি। সেটি শেষ হওয়ার পর কাতারি কর্মকর্তারা স্মারক উপহার দেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোকে। কাতারের আমির শেখ হামিম বিন হামাদ আল থানি স্বাগত ভাষণ দেন। সবশেষে আল বাইত স্টেডিয়ামের চারপাশে জ্বলে উঠল আতশবাজির আলোর ঝলকানি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct